নিজস্ব প্রতিবেদক : তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী কর্তৃক পাচার মামলার নাটক সাজিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে ভূক্তভোগীরা সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সূত্র জানায়, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার উজায়মারী গ্রামের মোঃ আলতাফ গাজীর কন্যা মোছাঃ তাছলিমা খানম এর সাথে ইসলামি শরিয়ত মতে গত ২৭/০৭/০৮ তারিখে শ্যামনগর উপজেলার জয়নগর গ্রামের মিজানুর রহমানের পুত্র আবুল হোসেন(৩২) ওমান প্রবাসির সাথে বিবাহ হয়। বিয়েরর পর কিছুদিন যেতে না যেতেই স্ত্রী বেপরোয়া চলাফেরার কারণে পারিবারিক ও সাংসারিক কলহের চুড়ান্ত রূপ নেয়। কোন ভাবেই স্ত্রী তাছলিমা খানমকে শান্ত করতে পারিবারিক ভাবে বার বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় স্বামী আবুল হোসেন। ফলে সংসারে প্রতি নিয়ত অশান্তি লেগেই থাকতো বলে আবুল হোসেনের পারিবারিক সূত্র থেকে জানায়। পারিবারিক সূত্রে আরো জানা গেছে, অশান্তির এক পর্যায়ে স্বামী আবুল হোসেন স্ত্রী তাছলিমা খানমকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে গত ২০/১০/২০১৬ ইং এফিডেভিট পূর্বক গত ২৫/০৮/১৬ দেনমহর ও খোরপোষ আদালতে জমাদিয়ে তালাক প্রদান করে। তালাকের খবর জানতে পেরে তাছলিমা খানম ও তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে মানব পাচার মামলার নাটক সাজিয়ে আবুল হোসেন ও তার পরিবার অন্য সদস্যদের মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানিসহ তাদের সম্মান বিপন্ন করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ আবুল হোসেনের পরিবারের সদস্যদের। অপর দিকে তাছলিমা তালাক নামা ও দেন মোহর ও খোর পোষের টাকা আদালত কর্তৃক প্রদান করতে চাইলে তা গ্রহণ না করে তাছলিমা গত ১৪/২/১৮ ইং তারিখে এফিডেভিট করে এবং এফিডেভিট উল্লেখ করেন যে গত ০২/০১/১৮ ইং তারিখে সন্ধ্যা ৭ টায় পুরাতন সাতক্ষীরা বদ্দীপুর কলোনী মাও: রুহুল আমিনের বাড়ি হতে আসামী ১। মোঃ আবুল হোসেন(৩২) ২। আলী মোর্তজা (২৯) উভয় পিতা মিজানুর রহমান ৩। উম্মে তাহেরা (৩১) জং খালিদ সাইফুল্লাহ ৪। মিজানুর রহমান(৫২) পিতা- সুখচাঁদ গাজী, সাং- জয়নগর, শ্যামনগর সাতক্ষীরা। উল্লেখিত ব্যক্তিরা ভাল ডাক্তার দেখানোর নাম করে সাতক্ষীরা থেকে প্রাইভেট কারযোগে কলারোয়া নিয়ে যায় সেখান থেকে ভারতের বসির হাট শহরের এক মহিলার কাছে বিক্রয় করে দেয় এবং ওই মহিলা তাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করায়। সে একজনের মাধ্যমে ঐ বাড়ী থেকে বাংলাদেশে চলে আসে। মামলায় আরো বলা হয়েছে, অভিযোগ নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নিতে অস্বীকার করে। জানা গেছে, দায়েরকৃত এজাহারের সত্যতা নিয়ে সন্ধেহ হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর থানা মামলা গ্রহণ করে নি। অপরদিকে তাসলিমা খানম সাতক্ষীরা বিজ্ঞ মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে উল্লেখিত ৪জনকে আসামী করে পি-৭৩/১৮(সাত) একটি মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত সাতক্ষীরা সদর থানাকে তদন্তপূর্বক ঘটনার সত্যতা যাচাই পূর্বক এফ আই আর হিসাবে গণ্য করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন বলে আদালতের নথি সুত্র থেকে জানাগেছে। বাদীর আরজি সুত্র থেকে জানা গেছে, ৪নং আসামীর ভাই পুরাতন সাতক্ষীরা বসতিপাড়া সাতক্ষীরা রুহুল আমিনের বাড়ি থাকে। পালিয়ে ভোমরায় আসতে সক্ষম হয়। আরও বলা হয়েছে বিজিবি’র নিকট থেকে আসার পর পুনরায় মাও: রুহুল আমিনের বাড়িতে আসে মাও. রুহুল আমিনের কাছে ও এলাকা বাসীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা জানায় আদৌ এলাকায় এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। খোজ খবর নিয়ে আরও জানাযায় ৪নং আসামী মো: মিজানুর রহমান দীর্ঘদিন যাবৎ ওমানে থাকেন ও ১নং আসামী দীর্ঘদিন যাবত ওমানে চাকুরি করে। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে প্রকৃত সত্য ঘটনা উৎঘটনের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।