গমরকালে একজন স্বাভাবিক পূর্ণ বয়সের মানুষকে কমপক্ষে তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার পানীয় পানের প্রয়োজন। এর মধ্যে বেশির ভাগই থাকবে নিরাপদ পানি। তারপর শরবত (চিনি বা গুড় ও লেবুর তৈরি, ইসবগুল বা বেলের শরবত), ফলের রস, জুস, লাচ্ছি , হালকা গরম চা বা কফি, কোমল পানীয়, ডাবের পানি এবং ক্ষেত্রবিশেষে খাবার স্যালাইন। ডাবের পানির মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইট। এটি শরীরকে আর্দ্র রাখতে কাজ করে। তাই গরমে শরীরকে আর্দ্র রাখতে প্রতিদিন এটি খেতে পারেন।
তাছাড়া, প্রবোটাইটিকস খাদ্য হিসেবে দই চমৎকার। গরমে এই খাবার তাৎক্ষণিক শক্তি দেয়। তাই এটিও রাখতে পারেন আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায়। শসার মধ্যে রয়েছে পানি ও আঁশ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন। এটি কেবল শরীরকে ঠান্ডাই রাখে না, সতেজ অনুভূতিও দেয়। খুব গরমে এক গ্লাস লেবুপানি আপনাকে প্রশান্তি দেবে। এটা স্বাস্থ্যকর, পাশাপাশি শরীরকে ঠান্ডা রাখতেও কাজ করবে।
আবার তরমুজ এমন একটি খাবার, এটি কেবল গরমে পাওয়া যায়। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখে। এর মধ্যে রয়েছে পানীয় উপাদান। গরমে হালকা খাবার খাবেন। গরম ও ঝালযুক্ত খাবার পাকস্থলীর জ্বালাপোড়া বাড়ায়। তাই এ সময়টায় হালকা খাবার খাওয়াই ভালো। এ সময় সবুজ সবজি বেশি খান। এতে রয়েছে আঁশ। এটি শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। গরমকালে পোলাও, বিরিয়ানি খাওয়া যাবে না তান নয়, তবে তবে তা পরিমাণ মতো।