নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেছেন, মাদক একটি সামাজিক অপরাধ। একটি পরিবার, একটি সমাজ, একটি রাষ্ট্র ধ্বংস করতে মাদকই যথেষ্ট। তাই মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। মাদক বিক্রেতার টাকায় কোন পুলিশের রক্ত বাড়বে না। যদি কোন পুলিশ মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকে, মাদক বিক্রেতাদের সাথে যদি আর্থিক লেনদেন, দহরম মহরম থাকে অথবা কোন পুলিশ নিজে মাদক বিক্রি করে, কিংবা খায়, সেই পুলিশ সদস্য এই সাতক্ষীরা জেলায় থাকবেনা। এছাড়া বাংলাদেশের পুলিশ বিভাগে তার চাকরী করার এখতিয়ার যাতে না থাকে সে ব্যবস্থা করা হবে। হাত পেতে পুলিশ কোন কিছু নেবে না। চাঁদাবাজি, ধান্দাবাজি আমি সাতক্ষীরায় থাকাকালিন কোন পুলিশ সদস্যকে করতে দেব না, দেওয়া হবে না।
‘মাদক জঙ্গি প্রতিকার, বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গিকার’ এই স্লোগানকে সামনে মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় কলারোয়ার বামনখালী বাজারস্থ কলেজ গেট সংলগ্ন মাঠে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ সভায় তিনি আরো বলেন, এই স্বাধীনতার মাসে আমাদের মতো ইয়াং জেনারেশন্স যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি তাদেরকে সাথে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় মক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। আর সেই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে মাদক ও জঙ্গিবাদ মুক্ত সমাজ বিনির্মাণ। আজকে হতে শুধু কলারোয়ায় না সমগ্র সাতক্ষীরাতে মাদক, সন্ত্রাস জঙ্গিবাদেও বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি।
২০১৩ সালে নাশকতা ও সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, শুধু কলারোয়ায় নয়, সাতক্ষীরায় নাশকতা, সহিংসতা সৃষ্টিকারী কোন জামায়াত শিবিরের ঠাঁই হবে না। আমি যতটুকু জেনেছি সাতক্ষীরার মানুষ সবচেয়ে সহজ সরল। গুটি কতক মানুষ যারা নিজেদেরকে মনে করে অনেক বেশি চালাক, অনেক বেশি ক্ষমতাধর, শিয়ালের মত ধূর্ত। কিন্তু তাদের জানা উচিৎ যে তাদের সকল তথ্য পুলিশের কাছে আছে। আমি শুধু ওই ধূর্তবাজ কতিপয় ব্যক্তিকে ম্যাসেজ দিতে চায় যে, আপনারা সীমা লঙ্ঘন করবেন না। সীমা লঙ্ঘন কারীকে কেউ পছন্দ করে না। সীমা লঙ্ঘনকারীকে অতি শিঘ্রই ওপারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাতক্ষীরা সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, কলারোয়া পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব, কলারোয়া রিপোর্টাস ক্লাবের সহ-সভাপতি এস এম জাকির হোসেন, কলারোয়া পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন সানা, ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি, শামসুদ্দিন আল মাসুদ বাবু প্রমূখ।