প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ১৪ মার্চ উৎসব ও আনন্দঘন পরিবেশে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ৪র্থ সমাবর্তন। এ সমাবর্তনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও নর্দান ইউনিভার্সিটি’র চ্যান্সেলর মো. আব্দুল হামিদ এর পক্ষ থেকে গ্রাজুয়েটদেরকে ডিগ্রী প্রদান করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান। ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সন্নিকটে আশকোনায় নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে এ সমাবর্তনটি অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ও আধুনিক বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে দক্ষ ও বাস্তব জ্ঞানে সমৃদ্ধ নাগরিক তৈরির জন্য নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা আজকে ডিগ্রি নিচ্ছ, কিন্তু তোমাদের বাস্তব কর্মজীবন শুরু করতে হবে এখান থেকেই। নর্দান ইউনিভার্সিটি তোমাদেরকে যে নৈতিক শিক্ষা দিয়েছে তাঁর আলোকে দেশের কল্যাণে তোমরা কাজ করে যাবে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সরকারি ও বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না। নতুন প্রজম্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসাবে প্রস্তুত করাই আমাদের লক্ষ্য। বিশ^বিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান করতে হবে। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে, যাতে সৃষ্ট জ্ঞান জাতির মৌলিক ও বিশেষ সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে পারে। সমাবর্তন বক্তা ড. মসিউর রহমান বলেন, দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চশিক্ষায় অনন্য অবদান রেখে চলেছে। নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সমাবর্তনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর বোর্ড অব ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ, ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আনোয়ারুল করিম, ট্রেজারার মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রমূখ। বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষকম-লী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারি, অভিভাবকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন। আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। উল্লেখ্য, ৫৮৮১ জন ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর শিক্ষার্থীকে সমাবর্তনে সনদ দেওয়া হয়। ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর কোর্সে চ্যান্সেলর ৪ জন ও ভাইস-চ্যান্সেলর ৫ জনসহ মোট ৯ জন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।