নিজস্ব প্রতিবেদক : জেলার আশাশুনি উপজেলায় সরকারি সম্পত্তি অন্যের নিকট বিক্রয় ও জবর দখলের মহাৎসবের ঘটনা যেন নিত্যদিনের স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না তাদের। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, আশাশুনি উপজেলায় সরকারি সম্পত্তি অন্যের নিকট বিক্রয় ও জবর দখলের হোতা নব্য ওলামালীগ নেতা বেউলা ওসমানিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল মাজেদ সরদার দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে তার কার্যক্রম। অভিযোগ সুত্রে ও সরোজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামস্থ বেতনা নদীর চর (ওয়াপদা ও এসিল্যান্ডের সম্পত্তি) বে আইনীভাবে দখল ও মৌখিক চুক্তিতে দখল স্বত্ব বিক্রয়ের জন্য নওয়াপাড়া গ্রামে মৃত তমেউদ্দীন সরদারের পুত্র নব্য ওলামালীগ নেতা বেউলা ওসমানিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল মাজেদ সরদার ও তার বড় ভাই আলী হোসেন সরদার ও চাচাত ভাই ইউনুস সরদার, আমজেদ সরদার, আনোয়ার সরদারসহ স্থানীয় কয়েকজন মিলে প্লট প্লট আকারে ওয়াপদা ও এসিল্যান্ডের সম্পত্তি /সরকারি সম্পত্তি দখল ও মৌখিক চুক্তিতে অন্যায় ভাবে বিক্রয় করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয় নিচ্ছে। কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না সরকারি সম্পত্তি দখলবাজদের। উল্লেখ্য যে, সরকারি সম্পত্তি বিক্রয় ও জবর দখলের বিষয়টি এলাকার জন সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসনের সুদৃষ্টি না আসার কারণে এলাকার জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টির হচ্ছে। তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা গেছে, গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারী ঐ নব্য নেতা ও তার গংরাদের বিরুদ্ধে অনলাইন স্থানীয়, আঞ্চলিক , ও জাতীয় পত্রিকায় জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ প্রকাশ হয়। এদিকে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ঐ নব্য নেতার ও তার গংরা বিভিন্ন ভাবে ডিসি অফিস স্মারক নং- ১৫৪ তাং ১৩/২/২০১৮ . এস পি স্বারক নং- ১২৭৯. এক্সএন স্মারক নং- ২০২৩ অভিযোগ পত্রটির প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন ভাবে মোঃ দাউদ হোসেন ও তার পরিবার সহ দিংদের বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে এবং তাদেরকে মারপিট সহ হত্যা, সংবাদ সম্মেলন, মিথ্যা মামলা,উচ্ছেদ সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান অব্যাহত রাখে। মোঃ দাউদ হোসেন ও তার দুই সন্তান (সাতক্ষীরা জেলার বাইরে) কর্ম স্থানে থাকা সন্তানদেরকে ( ঢাকা ও চট্রগ্রাম) বিভিন্ন প্রকার সংবাদ সম্মেলন, মিথ্যা মামলাসহ হত্যার পরিকল্পনা অব্যাহত রাখেন তারা। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানায়, উক্ত সম্পত্তি সাতক্ষীরা পাওবোর সম্পত্তি। উক্ত সম্পত্তিতে নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত ইসমাইল সরদারের পুত্র মোঃ দাউদ হোসেন,সুলাইমান সরদার, রবিউল ইসলাম, আরশাদুল ইসলাম, জামাত আলী সরদার, সামাদ,গফুর,দীর্ঘ ৪০ বছরের অধিকাল যাবত বসত বাড়ির পাকা টয়লেট,নলকূপ স্থাপন করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছে এবং উক্ত সম্পত্তির ব্যবহার করায় সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি রাজস্ব দিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী সাতক্ষীরা পওর বিভাগ-২ বরাবর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সেক্রেটারী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সুপারিশকৃত একটি আবেদন করায় সাতক্ষীরা পওর বিভাগ-২ নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস স্মারক ৬৮২৪ তারিখঃ ২০/০৬/২০১৬ইং হওয়ার কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ সরেজমিনে তদন্ত করে দেখেন নওয়াপাড়া মৌজার পাওবোর অধিগ্রহণকৃত এলএ কেস নং-১৭৭/৬২-৬৩ সম্পত্তি উক্ত ব্যক্তিদের দখলে আছে। এই মোতাবেক তারা ইজারা পাইতে পারে বলে পাওবোর কর্মকর্তাবৃন্দ আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্তু গত ০১/০১/২০১৮ তারিখে মাওলানা ও তার সহযোীগরা সকাল আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় উক্ত জায়গা মেপে কম্পিউটার লিখে একটা ভিত্তিহীন সালিশনামা করে যাতে বিবাদীদের স্বাক্ষর নেই। উল্লেখ্য যে, উক্ত বিষয়ের উপর মোঃ দাউদ হোসেন ডিসি অফিসে স্মারক নং-১৫৪ ও অনুলিপি এসপি ১২৭৯, নির্বাহী প্রকৌশলী সাতক্ষীরা পওর বিভাগ-২ স্মারক নং-২০২৩ আবেদন করেছে। উক্ত বিষয়টি নিয়ে বেউলা ওসমানিয়া দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা আব্দুল মাজেদ ও তার গংরা বিভিন্নভাবে উক্ত ব্যক্তিদের বিভিন্নভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অভিযোগ ও পাওবোর দাখিলকৃত আবেদন পত্রটি প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। সরকারি সম্পত্তি বেআইনিভাবে অন্যের নিকট বিক্রয় ও শান্তিপ্রিয় নিরীহ মানুষকে হয়রানী করার অপচেষ্টা করায় এলাকায় সাধারণ জনগনের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি করে। উক্ত বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধোতন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।