সাতক্ষীরা

উদ্ধারকৃত খাস জমি খালি করতে ১ মাস সময় দিলেন নবাগত জেলা প্রশাসক

By daily satkhira

March 16, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক : শহরের রইচপুরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করা সম্পত্তি পরিদর্শন করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ ইফতেখার হোসেন। শুক্রবার বিকাল ৫টায় পরিদর্শন যান তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা খাতুন, সদর ভূমি কর্মকর্তা কান্তি লাল, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন কালুসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। নবাগত জেলা প্রশাসক উদ্ধার সম্পত্তি ঘুরে দেখার পর বলেন আগামী ১৪ এপ্রিল ২০১৮ তারিখের মধ্যে উক্ত সম্পত্তিতে থাকা কোন স্থাপনা, মাছ বা ফসল কিছুই থাকবে না। আগামী ১৬ এপ্রিল আমি এখানে আসবো। যদি কিছু থাকে সেগুলো আমি নিজেই ভেঙে দেবো। এখানো নোটিশ দেওয়া হবে না। কারণ নিজের সম্পত্তি থেকে চলে যাওয়ার জন্য কোন নোটিশ দেওয়া লাগে না। উল্লেখ্য : বিগত কয়েক বছর ধরে পলাশপোল মৌজায়, বিল আবাদালি জে এল নং- ৯৪, ডি এস খতিয়ান ১৯৯৪, দাগ নং- ৪২৩১ জমির পরিমাণ ৫২ শতক, ৪২৩৮ দাগে ৭৪ এ কর ৩৪ শতক, ১২৮০ দাগে ১১৮ একর ৪ শতক ৩টি দাগে ১৯২ একর ৯০ শতক সম্পত্তি। উক্ত সম্পত্তি ইটাগাছা এলাকার মৃত. মাদার মন্ডলের ছেলে মৃত ইমান আলি মন্ডল ৪১ একর ৩৭ শতক, রইচপুর এলাকার মৃত. আতিয়ার রহমানের ছেলে রুহুল কুদ্দুস ১২ একর ৩৭ শতক, মাহাজান সরদার গং ১৪ একর ৩৫ শতক, মফিজউদ্দীন গং ২ একর ৬৬ শতক আসমেত খা গং ৮ একর ৬৮ শতক, মহম্মাদ গং ২ একর, আবু তাহের গং ১ একর ৩১ শতক, আলহাজ্ব নুরুল আমিন হাজী গং ১২ একর ২ শতক জমি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে ভোগদখল করে আসছিলো। ভূমিদস্যুরা স্বাধীনতার পর থেকে সরকারি জমি দখলে নিয়ে লক্ষ-লক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে সরকারকে বঞ্চিত করছিলো এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে পৌর ৭নং ওয়ার্ডস্থ রইচপুর সাতক্ষীরা মৌজা এলাকা থেকে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে সরকারি জমি উদ্ধার করেন সীমানা নির্ধারণ করে দেন। এসময় ১নং খাস খতিয়ানের ৩০০ বিঘা জমি মাপ যোগ করে লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড উত্তোলন করা হয়। এদিকে দখল হওয়া জমি উদ্ধার হওয়ায় জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অপরদিকে সরকারি সম্পত্তি যেন অবৈধ দখল না হয় সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।