গাজী আল ইমরান : উপকূল অঞ্চলে ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হচ্ছে গৃহপালিত গবাদি পশু গরু-ছাগল, মহিষ-ভেড়ার চারণ ভূমি। ঘনবসতির কারণে একদিকে কমছে কৃষি জমি, অন্যদিকে ভূমি খনন করে গড়ে উঠছে নতুন নতুন মাছের ঘের, মিষ্টি আঁধার গুলো ভরে যাচ্ছে লবন পানিতে। এতে একদিকে গবাদি পশুর বিচরণ ক্ষেত্র কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে লবণ পানির আগ্রাসনে বিলুপ্ত হচ্ছে প্রাণ বৈচিত্র্য। উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট এবং শ্রীফলকাঠি এলাকা ঘুরে এখানে বহু গবাদি পশুর বিচরণ দেখা যায়। কিন্তু তাদের শারিরিক গঠন তেমন ভালো নেই। কারণ তাদের নেই অবাধ চরণ ভূমি , খাঁ খাঁ রৌদ্রে নেই তৃষ্ণা মেটানোর ব্যবস্থা। বাধ্য হয়ে পান করছে খাল দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর লবনাক্ত পানি। যেটা গবাদি পশুর শরীরের জন্য ক্ষতিকর। যার কারনে বিভিন্ন ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে গবাদি পশু। গবাদি পশু বাঁচাতে বহু আঁকুতি এখানকার স্থানীয় মানুষের। গবাদি পশুগুলি দেখভাল করার বিষয়গুলি লক্ষ করলে দেখাযায়, নিজের পরিবারের সদস্যদের মতই গবাদি পশুকে ভালোবেসে চলেছে তারা। ধুমঘাট গ্রামটিতে লক্ষ করা যায়, গ্রামের অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা গরু ও ছাগল পালন করে লাভবান হচ্ছেন। প্রায় প্রতিটি পরিবারেই একাধিক গরু-ছাগল-মহিষ রয়েছে। আর এসব গাভী থেকে পাওয়া দুধ বিক্রি করে অনেকের সংসার চলে। শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাটের বড় বড় বিলের জমি গরু-ছাগল পালনের উপযুক্ত বিচরণ ভূমি। এই বিলকে কেন্দ্র করে এসব অঞ্চলের কৃষকরা গরু-ছাগল পালনে আগ্রহী হন। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে বেশি লাভবান হওয়ায় এই অঞ্চলের কৃষকেরা চিংড়ি চাষের ওপর ঝুঁকে পড়ছে। এছাড়া মিষ্টি পানির আঁধার খালে লোনা পানি উত্তোলন করার ফলে গরু-ছাগল বিচরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষ যেনো তার নিজের ভোগের মহিমায় প্রাণ বৈচিত্র্যকে বিলুপ্ত করতে চাচ্ছে। সমস্যা সমাধান বিষয়ে জানতে চাইলে এলাকার মুরব্বিরা জানান, আমাদের এলাকার গবাদি পশু পালনে সবচেয়ে বড় সমস্যা গবাদি পশুর জন্য কোনো মিষ্টি পানির ব্যবস্থা নেই । এ জন্য বিলের চার পাশে খালগুলো লোনা পানি মুক্ত করা খুব দরকার বলে মনে করেন তারা।