নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার মেয়ে শুটার তৌফিকা সুলতানা রজনীর চোখে এখন স্বপ্ন অলিম্পিক খেলার। এজন্য সামনের খেলাগুলি পার করতে হবে তাকে। সেই প্রত্যাশা নিয়েই তার এগিয়ে চলা। সাতক্ষীরার সৌম্য , মোস্তাফিজ যেমনটি করে বিশ্ব ক্রিকেটকে কাঁপিয়েছে , সাবিনা কাপিয়েছে যেমন বিশ্ব নারী ফুটবলকে তেমনি রজনীও বিশ্ব কাঁপাতে চায় শুটিং নৈপুন্যে। সাতক্ষীরার রাইফেল ক্লাবেই হাতে খড়ি হয়েছিল রজনীর। তারপর একে একে পেরিয়েছেন নানা ধাপ। এখন তার স্থায়ী ঠিকানা আর্মি শুটিং এসোসিয়েশন। শহরের কামাননগরের মেয়ে রজনী এবার এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছেন। সামনের দিনগুলি শুটিংয়েই কাটাতে চান তিনি। রজনী তার নৈপুন্যের জোরে ২০১৫ সালে বেইজিং স্পোর্টস ইউনিভার্সিটিতে ২৩ দিনের প্রশিক্ষন গ্রহন করেছেন রাইফেল শুটিংয়ে। একই সালে বাংলাদেশ স্পোর্টস শুটিং ফেডারেশনের প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান পেয়ে লাভ করেছেন রৌপ্য পদক। এবার হামিদুর রহমান থার্ড ইয়ুথ শুটিং চ্যাম্পিয়নশীপেও তিনি পেয়েছেন দ্বিতীয় স্থান। ১০ মিটার এয়ার রাইফেল (মহিলা) প্রতিযোগিতায় তিনি এবারও জিতেছেন রৌপ্য পদক। এখন আর্মি শুটিং অ্যাসোসিয়েশনে নিয়মিত শুটার হিসাবে অনুশীলন করছেন রজনী। সোমবার দুপুরে রজনীর সাথে তার বাড়িতে কথা হয় এই প্রতিনিধির। রজনী বলেন আমার স্বপ্ন অলিম্পিক খেলার। এই প্রত্যাশায় ভর করে আছি। সেই স্বপ্নমাখা চোখ নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।