নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্যামনগর উপজেলার সদরের সন্নিকটে বংশীপুর গ্রামে রাতের খাবারের সাথে চেতনা নাশক দ্রব্য মিশিয়ে অজ্ঞানের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ৪ব্যক্তি গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। সোমবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থরা হলেন- বংশীপুর গ্রামের যতিন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে লক্ষীপদ ঘোষ (৫৫), ছেলে তরুণ কুমার ঘোষ (৩৫), বৃদ্ধ মা আন্না ঘোষ (৭৫) ও তাদের কর্মচারী ব্রহ্মাশাসন গ্রামে সন্তোষ ঘোষের ছেলে তুলশী ঘোষ (৩৫)। সর্বস্ব লুট করার জন্য অজ্ঞান পাটির সদস্যরা এ কান্ড ঘটিয়েছে প্রাথমিক ভাবে জানাযায়। বাড়ীর মালিক, জ্যোসনা রানী ঘোষ জানান, সন্ধ্যার দিকে রান্না ঘরে কাজ করার সময় বসত ঘরের মধ্যে হঠাৎ শব্দ হয়। এসময়ে দ্রুত ঘরে যাওয়ার সময় অচেনা এক ব্যক্তি লাফ দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ডাক চিৎকারে ছেলে সহ অন্যরা বাড়ীতে এসে খোজা খুজি করে কাউকে পাওয়া যায়নি। এসময় ঘরে কোন মালমাল নষ্ট হয়নি জানতে পারে। রাত ১০টার দিকে সবাই খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমাতে যায়। এক পর্যায়ে সবাই অচেতন হয়ে পড়ে। বাড়ীর মালিক আরও জানান, গভীর রাতে অজ্ঞাত ০১৯৯৮৭৪৫৭১৭ নম্বর থেকে তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ফোনটি বন্দ পাওয়া যায়। দ্রুত উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার আনিছুর রহমান খাদ্যের সাথে অচেতন দ্রব্য মিশানোর ফলে সবাই অসুস্থ হয় নিশ্চিত করেন। শ্যামনগর থানার ওসি সৈয়দ মান্নান আলী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।##