কে.এম রেজাউল করিম : দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো ৮ম শ্রেণিতে পড়–য়া শিক্ষার্থীর বিয়ে। রক্ষা পেলো তার ভবিষ্যৎ জীবন। জানা গেছে, উপজেলা সদরের দেবহাটা গ্রামের সোলেমান হোসেনের মেয়ে দেবহাটা বিবিএমপি ইনষ্টিটিউশান পাইলট হাইস্কুলের ৮ম শ্রেণিতে পড়–য়া শিক্ষার্থী শারমিন আক্তারের সাথে তার অভিভাবকেরা পাশর্^বর্তী কোড়া গ্রামের জনৈক এক ছেলের সাথে বিবাহ দেয়ার চেষ্টা করে। রবিবার গভীর রাতে এই বিবাহ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই বাল্য বিয়ের কথা জানতে পারেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। তিনি রাত ১০ টার দিকে তাৎক্ষনিক দেবহাটা থানার এসআই আব্দুল কাদের সহ পুলিশ ফোর্স নিয়ে হাজির হন মেয়ের বাড়িতে। সেখানে বিয়ের প্রস্তুতি দেখে তিনি ঐ শিক্ষার্থী (পাত্রী) ও তার অভিভাবকদের সাথে কথা বলেন। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আগমনের খবর পৌছে যায় পাত্রের বাড়িতে। তারা বিয়ের কথা ভুলে গিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আর মেয়ে ও মেয়ের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে তাদেরকে বাল্য কুফল সম্পর্কে জানান। এসময় তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে বিয়ে বন্ধ করে দেন। আর ভবিষ্যৎ খারাপের কথা জেনে ঐ মেয়েটি বাল্য বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে তার ভবিষ্যৎ জীবন রক্ষা পেলো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ জানান, বাল্য বিয়ে হচ্ছে অভিশাপ। আমাদের সমাজ থেকে এই অভিশাপ দুর করতে আরো সচেতন হওয়ার জন্য তিনি সকলকে অনুরোধ জানান।