নিজস্ব প্রতিবেদক : আমি আমার ছেলে রাকিবকে রোজ স্কুলে পৌছে দেওয়ার সময় আমার মামা পরিচয়ের রেজাউল ইসলাম প্রায়ই আমাকে কুপ্রস্তাব দিতো। আমি এতে সম্মতি না দিয়ে স্বামী আবদুল হাইকে বিষয়টি জানাই। রেজাউলের কাছে যেয়ে স্বামী এর প্রতিবাদ করার পর তার বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরি মামলা দেওয়া হয়েছে। বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা জানিয়েছেন শহরতলির বাটকেখালি ঋষিপাড়ার আবদুল হাইয়ের স্ত্রী শিল্পী খাতুন। এসময় তার শাশুড়ি সেলিনা খাতুন, ভাসুর সাহেব আলি ও সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তবে সাতক্ষীরা থানার ওসি মারুফ আহমেদ বলেছেন ‘আবদুল হাইকে চুরির সুনির্দিষ্ট মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিল্পী বলেন আমার স্বামী নির্দোষ। তিনি বকুলতলা মোড়ে রোম টেইলার্সে লন্ড্রির কাজ করেন। তার বিরুদ্ধে কখনও কোথাও কোনো অভিযোগ ছিল না। শিল্পী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন রেজাউল কুপ্রস্তাব দেওয়ার প্রতিবাদ করা হলে সে আরও খারাপ খারাপ কথা বলতো। বিষয়টি জানবার পর স্বামী আবদুল হাই এর প্রতিবাদ করে বলেন, এরপর আবার এমন অপকর্ম করলে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে’। তিনি বলেন এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রেজাউল তার বাড়িতে চুরির নাটক সাজায়। এলাকার কোনো লোকই জানতে পারেনি যে তার বাড়িতে চুরি হয়েছে। তাছাড়া রেজাউলের স্ত্রীও বলেছেন যে তিনি আমার স্বামীকে চুরি করতে দেখেন নি, চুরির পর রাস্তায় দাঁড়িয়ে সিগারেট টানতে দেখেছেন। তিনি বলেন কু প্রস্তাবের প্রতিবাদ করায় রেজাউল ও তার সহযোগী বহু অপকর্মের হোতা এপিপিএড. মিজান পুলিশকে মিথ্যা ইনফরমেশন দিয়ে আমার স্বামী আবদুল হাইকে গ্রেফতার করিয়েছে। তাকে ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় আটক করে পুরাতন সাতক্ষীরা ক্যাম্প পুলিশ। তার পর দুইদিন আটক রেখে পরে জেল হাজতে পাঠায়। তিনি বলেন এখন এই কুচক্রী এড. মিজান তার স্বামীর অন্য ভাইদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি দিচ্ছে। শিল্পী বলেন, আমি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই। এ ছাড়া কুখ্যাত চোরাকারবারি রেজাউল ও বহু অপকর্মের হোতা এড. মিজানের শাস্তি চাই’। তিনি এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।