কালিগঞ্জ

কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখন্ড রেখে সাতক্ষীরা-৪ আসন বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন

By daily satkhira

March 25, 2018

মোঃ আরাফাত আলী কা‌লিগঞ্জ : কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ ইউনিয়নকে দু’ভাগে ভাগ করে সাতক্ষীরা-৪ আসনে ৮ টি ইউনিয়ন ও সাতক্ষীরা-৩ আসনে ৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে বিন্যস্ত করে বিগত নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর ফলে উন্নয়নের বৈষম্যের পাশাপাশি সৃষ্টি হয় প্রশাসনিক জটিলতা। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নতুন সীমানা বিন্যাসের খসড়া গেজেটে কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ ইউনিয়নকে অখন্ড রেখে শ্যামনগর উপজেলার ১২ ইউনিয়নের সাথে সংযুক্ত করে সাতক্ষীরা-৪ আসন ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ১০ বছর পর কালিগঞ্জবাসীর আশা পূরণ হয়েছে। কিন্তু একটি মহল আঞ্চলিকতা ও ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলাকে বিভাজিত করে রাখার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং চুড়ান্ত গেজেটে অখন্ড কালিগঞ্জ বহাল রাখার দাবিতে গঠিত সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে বিশাল মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদস্যসচিব ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কালিগঞ্জ ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, যুগ্ম আহবায়ক উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল খালেক, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাম্যবাদী দলের বিভাগীয় কমরেড তরিকুল ইসলাম, কালিগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ জিএম রফিকুল ইসলাম, রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ একেএম জাফরুল আলম বাবু, কালিগঞ্জ পাইলট মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম.ওয়াজেদ আলী, বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীন, কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেন, কুশলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী কাউফিল অরা সজল প্রমুখ। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সকল সহযোগী অংগ সংগঠন, অন্যান্য রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষ মানববন্ধন ও সমাবেশে স্বত:স্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসানের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।