ফিচার

সাতক্ষীরায় যুবলীগের দু’গ্রুপের সংষর্ঘে আ. লীগের স্বাধীনতা দিবসের সভা রণক্ষেত্র, মুনসুর আহমদসহ আহত ৯

By daily satkhira

March 26, 2018

ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরায় আওয়ামীলীগের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় যুবলীগের ২পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাতক্ষীরা সদর থানা ঘেরাও করে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এ ঘটনায় শহর ব্যাপী টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় নিউমার্কেট এলাকায় শহীদ আলাউদ্দিন চত্বরে পৌর আওয়ামীলীগ আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনাসভায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবিহা হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান, জেলা যুবলীগের সদস্য মীর মহিতুল আলম, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী আক্তার হোসেন, জেলা তাতী লীগের সভাপতি মীর শাহিন, যুবলীগ নেতা বাবু ও ছাত্রলীগ নেতা তৌকিরসহ ৮ জন। পৌর যুবলীগের একাংশের আহবায়ক আব্দুল কাদের জানান, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিকালে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট সংলগ্ন আলাউদ্দিন চত্বরে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদাক শাহাদাৎ হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা চলছিল। এ সময় জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে একটি মিছিল সেখানে উপস্থিত হয়। সভাস্থলে পৌছে মান্নান ষ্টেজে উঠে মাইক কেড়ে নিয়ে বলে আজ থেকে খেলা শুরু। আমার বিরুদ্ধে যারা মিছিল মিটিং করছে, তাদেরকে এখন খেলা দেখাবো। এতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তাতী লীগের সভাপতি প্রতিবাদ করলে মান্নানের নেতৃত্বে মঞ্চে থাকা অতিথিদের উপর হামলা চালানো হয়। হামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমানসহ কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা জানান, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ মিছিল নিয়ে নিউ মার্কেট এলাকার কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার প্রাক্কালে মান্নান, তুহিন ও মনোয়ার হোসেন অনুর নেতৃত্বে লোহার রড, হকিস্টিক, রাম দা নিয়ে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। এতে তাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়। আহতদের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান ও তৌকিরের অবস্থা আশংকাজনক। এদিকে জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আলোচনা সভায় আমি বক্তব্য রাখছিলাম। তখন সদর এমপি সাহেবের ভাই যুবলীগের সদস্য মীর মহিতুল আলম মঞ্চের নিচে হট্টগোল করতে থাকে। তখন আমার নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করলে মহিতুল আলম আমাকে চেয়ার ছুটে মারে। পরে তারা লোহার রড, হকিস্টিক, রামসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার নেতাকর্মীর উপর হামলা করে। এঘটনায় পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু, সাধারণ সম্পাদক তুহিনুর রহমান তুহিন, ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মিলন হোসেন, লাবসা যুবলীগের সভাপতি আফতাবুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ইয়ারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ইয়াসিনসহ ৮জন আহত হয়। আহতদের সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে জানান তিনি। এর মধ্যে ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মিলন হোসেনের অবস্থা আশংকাজনক। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, আওয়ামী লীগের কর্মসূচির ব্যাপারে আমাদের আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি। শহীদ আলাউদ্দিন চত্বরে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি চলছিল তখন জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে একটি মিছিল পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন দুই গ্রুপের হাতাহাতি হয়। ঘটনা শুনে পুলিশ দ্রুত সেখানে পৌছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এখন সবকিছু স্বাভাবিক।

উল্লেখ্য, এমপি সমর্থিত যুবলীগের মহি গ্রুপ পৌর যুবলীগের একটি কাউন্টার কমিটি ঘোষণা করে। এতে করে জেলা যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।