জাহাঙ্গীর আলম লিটন কলারোয়া,প্রতিনিধিঃ-মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর সেনানী ও শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত করতে কলারোয়ায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। স্বাধীনতার ৪৭তম বছরে কলারোয়া উপজেলাব্যাপী যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানান কর্মসূচিতে পালিত হয় জাতীয় দিবসটি। উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক দলগুলো দিবসটি পালন করে।
২৬মার্চ প্রত্যুষে কলারোয়া ফুটবল মাঠে সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ‘স্বাধীনতা’র পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, কলারোয়া প্রেসক্লাব, আ.লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক, শিক্ষা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মকর্তারা। এসময় ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় শহীদ বেদি। সেখানে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
পরে শহীদ ও প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, কবর জিয়ারত করা হয়।
সকাল ৮টায় কলারোয়া ফুটবল মাঠে আনুষ্ঠানিক জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
এরপর সেখানে বিভিন্ন শিক্ষা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চা প্রদর্শনী ও শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান, এবং মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধানা আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ‘মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনিরা পারভীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন। অনুষ্ঠানে যুদ্ধকালীন কমান্ডার মোসলেম উদ্দীন ও আব্দুল গফফার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আরাফাত হোসেন, কলারোয়া সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু নসর, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব দেব নাথ বক্তব্য রাখেন। এসময় উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার এবং উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শেখ ফারুক হোসেন। সেখানে ওসি বিপ্লব দেব নাথের সৌজন্যে মুক্তিযোদ্ধাদের টি-শার্ট ও ক্যাপ প্রদান কর হয়।
বিকেলে ফুটবল মাঠে উপজেলা প্রশাসন ও সুধিজন একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ও সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সকালে থানা কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলরকে মাইক সেট উপহার দেন ওসি বিপ্লব দেব নাথ।
এদিকে, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে অনরূপভাবে দিবসটি উদযাপিত হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনও নানান কর্মসূচিতে দিবসটি পালন করে।