দেবহাটা

দেবহাটায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের অভিযোগ

By Daily Satkhira

March 28, 2018

দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় এক প্রধান শিক্ষক কর্তৃক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি এই ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার উপর চাপানো চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পুলিশি তদন্তে প্রাথমিকভাবে ঐ প্রধান শিক্ষকই এই ঘটনা ঘটিছেয়েন বলে জানা গেছে। দেবহাটা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ইয়ামিন আলী জানান, মঙ্গলবার দেবহাটা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্চুরুল ইসলাম সকালে দেবহাটা উপজেলার টিকেট ২নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আকষ্মিক পরিদর্শনে যান। তিনি সেসময় গিয়ে উক্ত স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মল্লিককে স্কুলে অনুপস্থিত দেখেন। এছাড়াও স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদেরও তুলনামূলক উপস্থিতি অনেক কম দেখেন। সেসময় সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা প্রধান শিক্ষককে ফোন দিলে তিনি স্কুলে আসেন। পরে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা স্কুলের জিনিষপত্র ক্রয়ের ভাউচার সহ বিভিন্ন বিষয়ে অসঙ্গতি ও গড়মিল দেখে সেগুলো পরিদর্শন বইতে নোট লেখেন। পরে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মঙ্গলবার বিকাল ৫ টার দিকে স্কুল দেখেন চলে আসেন। তিনি চলে আসলে প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মল্লিক স্কুল থেকে চলে আসেন এবং তারও ২/৩ মিনিট পরে সহকারী শিক্ষক ধনঞ্জয় স্কুলে তালা চাবি মেরে চলে আসেন। পরদিন অর্থ্যাৎ বুধবার সকাল ৮ টা ৫০ মিনিটের দিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার ও সহকারী শিক্ষিকা নাজমুন্নাহার একসাথে স্কুলে আসেন। স্কুলের তালাচাবি খুলে সহকারী শিক্ষিকা নাজমুন্নাহার ওয়াশ রুমে গেলে পরে এসে দেখেন ঘরের বারান্দায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে আছে। তিনি (নাজমুন্নাহার) প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন এগুলো সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ভেঙ্গে গেছেন। পরে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার মন্ডল, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম সহ লোকজন স্কুলে আসেন। এসআই ইয়ামিন আলী জানান, তিনি শিক্ষিকা নাজমুন্নাহারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তালা খোলার সময় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টানানো ছিল বলে জানিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ঐ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মল্লিক এই ঘটনার জন্য দায়ী বলে এসআই ইয়ামিন আলী জানান। এ ব্যাপারে দেবহাটা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রনব কুমার মল্লিক জানান, ঘটনার বিষয়ে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় একটি জিডি করেছেন। এছাড়া ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখিত প্রতিবেদন তিনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ জানান, বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। প্রশাসনিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।