নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদরের আলীপুরের ফসলি জমির ধার থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে চাষীদের পথে বসানোর পয়তারা করছে একটি চক্র। এঘটনায় বুধবার দুপুরে প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উক্ত অভিযোগের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশাররফ হোসেন মশুও সুপারিশ করেছেন। অভিযোগ সূত্রেজানাগেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নে অবস্থিত দক্ষিণ মাহমুদপুর বিল। এই বিলের আওতায় আনুমানিক ৩ হাজার বিঘা ফসলী জমি রয়েছে। উক্ত বিলের পানি নিস্কাশনের একমাত্র পথ নেলুর খাল। যেটি বর্তমানে নি¯প্রাণ। আলীপুর গ্রামের ডা: ময়ুরের ছেলে মোহনের নেতৃত্বে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি পাশ্ববর্তী ফসলী জমি কথা না ভেবে লোভ ও লাভের বশবর্তী হয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করে। অথচ উক্ত বিলে আলিপুর ইউনিয়নের বুলারআটি, মাহমুদপুর, তাল বাড়িয়া, খাসখামার ও দেবহাটা উপজেলার বহেরা, পুস্পকাটি গ্রামের শতাধিক মানুষের জমি রয়েছে। অত্র এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকার একমাত্র উৎস ওই বিলটি। বিলে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। এছাড়া উক্ত বিলের গা ঘেষে রয়েছে সীমান্ত আদর্শ কলেজ, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মাহমুদপুর হাইস্কুল। খালের পাশে চলতি মৌসুমে গরিব ও মধ্যবিত্ত চাষীদের জমিতে ইরি ধানের চাষ করা হয়েছে। এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে আলীপুর ইউনিয়নসহ দেবহাটা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের শত শত মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। নষ্ট হবে অত্র এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলো। অথচ এর প্রতিবাদ করতে গেলে এলাকার নারী পুরুষদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে ওই অসাধু মহলটি। এমনটি দাবি করেছেন অত্র এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা সহ শত শত সাধারণ মানুষ। এলাকাবাসী জানান, উক্ত খালে মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পাশ্ববর্তী ব্যক্তি মালিকানা জমিতে রাখা হচ্ছে। জমির মালিকরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে মিথ্যা মামলা জড়িয়ে পুলিশি হয়রানি ও হাত পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করছে ওই চক্রটি। পাশ্ববর্তী জমির মালিক আব্দুল মোতালেব বলেন, আমার ১৫কাঠা জমিতে তারা উত্তোলনকৃত বালি জোরপূর্বক রাখে। প্রতিবাদ করতে গেলে তারা বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করছে। তারা সব সময় লাঠি সোটা ও লোহার রড নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দিচ্ছে। যে কারণে আমরা মুখ খুলতে পারছি না। জমির মালিক নেছার আলী, হাসানসহ অনেকেই কথা বলেন। তারা আরো জানান তাদের অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ইতোমধ্যে বিলের অনেক জমি ভেঙে খালের মধ্যে চলে গেছে। আরো কিছু জমিতে ধ্বংস নিয়েছে এবং বালু কনা উড়ে অন্যান্য ফসলের উপর পড়ার কারণে ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। অবিলম্বে তাদের অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে না পারলে উক্ত বিলে চাষাবাদ অযোগ্য হয়ে পড়বে। পথে বসতে হতে অত্র এলাকার শত শত মানুষকে। এলাকাবাসী ওই অসাধু ব্যক্তি কর্র্তৃক ফসলির জমি পাশ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এঘটনায় বালু উত্তোলনকারী মোহনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, রউফ চেয়ারম্যান কোটি টাকার দুর্নীতি করে আপনারা রিপোর্ট করেছেন। আমার বাপের কম নেই যে আমি বালু উত্তোলন করবো।