সাতক্ষীরা

রইচপুরে সরকারি সম্পত্তিতে ভেড়িবাঁধ নির্মাণ,সাইনবোর্ড ভাংচুর

By daily satkhira

March 29, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন কর্তৃক উদ্ধারকৃত শহরের রইচপুরে ১০০.৩৩ একর জমি সীমানা নির্ধারণ করা পিলিয়ার ও সাইবোর্ড ভাংচুর করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহষ্পতিবার সকালে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সূত্র জানায়, গত শুক্রবার বিকালে সদর ভূমি অফিসের কর্মকর্তা বাবু কান্তিলাল সীমানা নির্ধারণ করে সাইবোর্ড সিমানা পিলিয়ার স্থাপন করেন। এসময় ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালুসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সীমানা নির্ধারণের এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই জমির একাংশের সাইনবোর্ড ও সীমানা পিলিয়ার উধাও হয়ে গেছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের নিষেধাঙ্গা অমান্য করে সরকারি খাস খতিয়ানের জমিতে জোরপূর্বক ভেড়িবাঁধ দিচ্ছে কতিপয় ব্যক্তি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানায়, বৃহষ্পতিবার সকালে রইচপুর এলাকার মাহাজন হাজীর ছেলে নূরুল আমিন, ইয়াছিন আলীর ছেলে একাধিক নাশকতা মামলার আসামী আবু জাহের, মালেক মোড়লের ছেলে জামায়াত কর্মী মুজিবর, মিজানুর রহমান, শফিকুর রহমান, রাফিকুর রহমান পাতলা, জুলফিকার গং, বিএনপি নেতা গোলাম সরোয়ার, সামসোদ্দীর ছেলে গোলাম সরোয়ার, মুজিবর মোড়লের ছেলে রাশেদ, খালেক মন্ডলের ছেলে বাবু, মৃত ইমান আলী মোড়লের ছেলে সুমোন, মামুন, একই এলাকার মহাদেব মাখালসহ ৭/৮ জন অবৈধ ভাবে দীর্ঘ দিন ধরে সরকারি সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছে। গত কাল বৃহষ্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসনের নিষেধাঙ্গা অমান্য করে সীমানা পিলিয়ার ভাংচুর, সাইবোর্ড ভাংচুর করে, ভেড়িবাঁধ নির্মান করছে। এব্যাপারে রইচপুর এলাকার মোশারফ জানায়, বৃহষ্পতিবার সকালে আমি আমার নিজ জমিতে কাজ করার জন্য আসি। এসময় ১২৮০ দাগসহ অন্যান্য দাগের জমিতে জেলা প্রশাসনের সাইনবোর্ড কতিপয় ব্যক্তি ভাংচুর করছে। এদিকে নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ ইফতেখার হোসেন গত ১৬মার্চ বিকালে উদ্ধার করা সরকারি সম্পত্তি পরিদর্শন করেন এসময় তিনি জমি খালি করার জন্য ১মাস সময় বেঁধে দেন। উলে¬খ্য : বিগত কয়েক বছর ধরে পলাশপোল মৌজায়, বিল আবাদালি জে এল নং- ৯৪, ডি এস খতিয়ান ১৯৯৪, দাগ নং- ৪২৩১ জমির পরিমাণ ৫২ শতক, ৪২৩৮ দাগে ৭৪ এ কর ৩৪ শতক, ১২৮০ দাগে ১১৮ একর ৪ শতক ৩টি দাগে ১৯২ একর ৯০ শতক সম্পত্তি। ভূমিদস্যুরা স্বাধীনতার পর থেকে সরকারি জমি দখলে নিয়ে লক্ষ-লক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে সরকারকে বঞ্চিত করছিলো এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে পৌর ৭নং ওয়ার্ডস্থ রইচপুর সাতক্ষীরা মৌজা এলাকা থেকে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে সরকারি জমি উদ্ধার করেন সীমানা নির্ধারণ করে দেন। এসময় ১নং খাস খতিয়ানের ৩০০ বিঘা জমি মাপ যোগ করে লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড উত্তোলন করা হয়। এ ব্যাপারে পৌর ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু জানান, নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ ইফতেখার হোসেন গত ১৬মার্চ বিকালে উদ্ধার করা সরকারি সম্পত্তি পরিদর্শন করেন এসময় তিনি জমি খালি করার জন্য ১মাস সময় বেঁধে দেন। নিষেধাঙ্গা অমান্য করে যদি কেউ সরকারি সম্পদ নষ্ট করে তাহলে জেলা প্রশাসন ব্যাবস্থা নেবে। সাইনবোর্ড ভাংচুরের কথা আমিও শুনেছি। তবে এব্যাপারে কারা জড়িত সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। অপরদিকে সরকারি সম্পত্তি যেন অবৈধ দখল না হয় সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।