নিজস্ব প্রতিবেদক : নলতায় এক গ্রাম ডাক্তারের কান্ড। পর পর ২টি কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় ১ম স্ত্রী থাকতেও ২য় বিবাহ। কিন্তু বিধিবাম ২য় স্ত্রীর গর্ভেও কন্যা সন্তানের আগাম পূর্বাভাস পেয়ে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্বে গর্ভপাত ঘটিয়েছেন তিনি। পাষান্ড ওই ডাক্তার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামের ফজর আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তার। সূত্র জানায়, বিগত ২০০৩ সালে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার আব্দুল ওহাব আলীর কন্যা গোলেনুর বেগমের বিবাহ হয় নলতা গ্রামের ফজর আলীর ছেলে গ্রাম ডাক্তার আব্দুস সাত্তারের সাথে। বিবাহের পর পর ২টি কন্যা জন্ম গ্রহণ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয় স্বামী আব্দুস সাত্তার। শুরু হয় নির্মম নির্যাতন। কিন্তু তারপরও স্ত্রী গোলেনুর মুখ বুঝে সহ্য করে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে স্বামী সাত্তার একই উপজেলার ঘোনা কাশেমপুর এলাকার বায়েজিতের কন্যা আকলিমার সাথে ২য় বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। কিন্তু তার গর্ভেও কন্যা সন্তানের পূর্বাভাস পেয়ে গর্ভপাতের মাধ্যমে নিশ্বেস করা হয় একটি প্রাণ। এদিকে ২য় স্ত্রী গ্রহণের পর থেকে ১ম স্ত্রী ও তার সন্তানরা যেন স্বামী সাত্তারের কাছে বোঝা হয়ে ওঠে। ইতোমধ্যে কন্যা ২টির পড়ালেখা ও বাজার ঘাট বন্ধ করে দেয় সাত্তার। এর প্রতিবাদ করায় স্ত্রী গোলেনুর ও কন্যা সন্তানদের মারপিট করে গুরুতর আহত করে সাত্তার। শুক্রবার সকালে নলতা গ্রামে এঘটনা ঘটে। আহত স্ত্রী গোলেনুর জানান, আমার অপরাধ কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়া। শুধু আমি না আমার কন্যা দুটিও যেন অনেক বড় অপরাধ করেছে জন্ম নিয়ে। তাদের জন্মের পর থেকে স্বামী সাত্তার তাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার বসাবসি হলেও কোন সমাধান হয়নি। এর জের ধরে শুক্রবার সকালে স্বামী সাত্তার ও শ্বশুর মিলে স্ত্রী গোলেনুর এবং তার কন্যা তাসনিম ও শারমিনকে বেধড়ক মারপিট করে বাড়িতে বের করে দেয়। এতে গোলেনুর বেগম মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে বড় কন্যা দুটি সুস্থ্য হলেও স্ত্রী গোলেনুরের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এঘটনায় অসুস্থ্য গোলেনুর ওই পাষান্ড স্বামীর বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।