সাতক্ষীরা

অপহরণের মিথ্যা মামলা দায়ের করে দুই বছর আতœগোপনে থাকা সাতক্ষীরার শম্পা খাতুনকে সাভার থেকে উদ্ধার

By daily satkhira

November 12, 2016

আসাদুজ্জামান : অপহরণের মিথ্যা মামলা দায়ের করে দীর্ঘ দুই বছর আতœগোপনে থাকা কথিত ভিকটিম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মৃগীডাঙ্গা গ্রামের শম্পা খাতুনকে(৩২) উদ্ধার করেছে সিআইডি পুলিশ। শুক্রবার রাতে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে উদ্ধার করে শনিবার দুপুরে তাকে সাতক্ষীরা সিআইডি অফিসে আনা হয়। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সিআইডি পরিদর্শক এনামুল হক জানান, এক কাঠা জমি দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে কৌশলে তা ফেরত নিতে জমিদাতা বিধবা শম্পা খাতুন প্রেমিক রিপন মোল্যা ও স্থানীয় ই¦উপি সদস্য আলি হোসেনের পরামর্শে সে আত্মগোপন করে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর শম্পার বাবা সদর উপজেলার হাওয়ালখালী গ্রামের আকবার আলী বাদী হয়ে জমি ক্রেতা একই উপজেলার মৃর্গীডাঙ্গা গ্রামের গোলাম সরোয়ারের ছেলে আজাদ হোসেন, আজাদ হোসেনের বৃদ্ধ বাবা গোলাম সরোয়ার, আজাদের স্ত্রী শাকিলা খাতুন ও প্রতিবেশি আনসার বেপারির নামে সাতক্ষীরা আদালতে একটি মিথ্যা অপহরণ মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি বেকর্ড করার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। মামলাটি রেকর্ড হওয়ার পর তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেন। এরপর আদালতে বাদির নারাজি আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি সিআইডি’র উপর ন্যস্ত করেন। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে সিআইডির এসআই সৈয়দ তোকাব আলী মামলাটির তদন্ত শুরু করেন। সিআইডি’র পরিদর্শক ইনামুল হক জানান, তদন্তকালে ভিকটিম শম্পা খাতুন ঢাকার সাভার এলাকায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে আত্মগোপনে আছে এমন খবরের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এসআই সৈয়দ তোকাব আলী শুক্রবার রাতে ঢাকার সাভার স্মৃতি সৌধের ১ নং গেটের নিকটে ‘তমাল পূস্পালয়’ নামের ফুলের দোকানে হানা দিয়ে তমালের বর্তমান স্ত্রী শম্পাকে উদ্ধার করেন। পরে তমালসহ তার স্ত্রী শম্পাকে শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসেন সিআইডি পুলিশ। আতœগোপনে থাকা শম্পা খাতুন গনমাধ্যমকে জানান, তিনি স্ব-ইচ্ছায় জমি বিক্রয়ের দেড় লাখ টাকা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুইগাছা গ্রামের মাঝের মোল্যার ছেলে প্রেমিক রিপনের হাতে তুলে দিয়ে ঢাকায় যান। কিছু দিন পরে রিপনের ঢাকায় যাওয়ার কথা থাকলেও সে আর ঢাকায় যাইনি। পরিস্থিতি বুঝে জীবিকা নির্বাহ করতে শম্পা গার্মেন্টসে চাকুরি নিয়ে ফুলের দোকানী তমালকে বিবাহ করেছিলেন। উদ্ধারকৃত শম্পা ও তার স্বামী তমালকে শনিবার আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে বলে তদন্তকারি কর্মকর্তা আরো জানান।