পেয়ারায় অনেক বেশি ভিটামিন সি ও এ রয়েছে। আপনারা জেনে অবাক হবেন একটি পেয়ারাতে সমান আকৃতির একটি কমলার ৪ গুন এবং একটি লেবুর ১০ গুন বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন বি২, কে, আঁশ, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার, ফোলেট ও ম্যাঙ্গানিজ এবং এতে কোন চর্বি নেই। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রন্ধন প্রক্রিয়ায় এই ফলটি একটি মিষ্টি ও সুস্বাদু উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়। পেয়ারার জুস একটি শক্তিদায়ক পানীয়।
তবে এক্ষেত্রে পেয়ারা পাতাও কিছু কম যায় না। চুলের যত্ন থেকে শুরু করে কাশির সমস্যা সবকিছুর সমাধান মিলবে এই পেয়ারা পাতা থেকেই। তবে চলুন দেরী না করে জেনে নেওয়া যাক, পেয়ারা পাতার উপকারী দিকগুলো-
১) থাইরয়েডের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে:
থাইরয়েড জন্য উপকারী কপারের খুব ভালো উৎস হচ্ছে পেয়ারা পাতা। এটি আমাদের দেহের খুব গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি যা দেহের হরমোন ও অর্গান সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করে।আর কপার দেহের হরমোন উৎপাদন ও শোষণকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য এবং এর পটাশিয়াম ও শক্তিশালী প্রদাহনিরামক গুনাগুন থাইরয়েডের কাজকে উন্নত করতে সহায়তা করে।।তাই থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা দূর করার জন্য পেয়ারা ও পেয়ারা পাতাকে খাদ্য তালিকার গুরুত্বপূর্ণ অংশ করে নিতে হবে। এছাড়াও পেয়ারা দেহের শক্তি বৃদ্ধি ও ওজন কমানোর কাজকে সহজ করে দেয়।
২) চুলের যত্নে পেয়ারা পাতা:
পেয়ারা থেকে পেয়ারার পাতাই কিন্তু আপনার চুলের জন্য বেশি উপকারী। চুল পড়া টেনশনে যাদের রাতের ঘুম হারাম তাদের জন্য আছে এক কার্যকরি উপায়। এক লিটার পানিতে একমুঠো পেয়ারা পাতা দিয়ে ভালো করে গরম করে ফুটিয়ে নিন। এবার দ্রবণটিকে কক্ষ তাপমাত্রায় ঠান্ডা করুন। তেলের মত মাথার ত্বক থেকে শুরু করে আগা পর্যন্ত দ্রবনটি লাগান। প্রতিদিন ব্যবহারে আপনার চুলপড়ার হার অনেকাংশে কমে যাবে।
৩) রক্তের শর্করা কমাতে পেয়ারা পাতা:
ডায়বেটিস রোগীদের জন্য পেয়ারা পাতা যেন আশির্বাদ স্বরূপ। কেননা, পেয়ারা পাতা দিয়ে বানানো চা নিয়মিত পান করলে, এই চা দেহের ইনসুলিন এর মাত্রা বৃদ্ধি ব্যাতিত ই শরীরের রক্তের শর্করার পরিমাণ কমাতে পারে।
৪) শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে পেয়ারা পাতা:
পেয়ারা পাতা শ্বসনতন্ত্রের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটা ব্রংকাইটিস এবং কাশির জন্য একটি চিকিত্সা হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
৫) ওজন কমাতে সাহায্য করে:
ওজন কমাতে পেয়ারা পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরের মধ্যেকার কমপ্লেক্স স্টার্চকে সুগারে পরিণত করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পেয়ারা পাতা রক্তে আলফা গ্লুকোডাইজ এনজাইম অ্যাক্টিভিটির পরিমাণ কমিয়ে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।