খুলনা

অবৈধ সম্পদ অর্জন; আ’লীগের দুই এমপিকে দুদকে তলব

By Daily Satkhira

April 05, 2018

বিএনপির শীর্ষ আট নেতার বিরুদ্ধে সন্দেহজনক লেনদেনের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের পর দলটির সমালোচনার মুখে থাকা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবার আওয়ামী লীগের দুই জন সংসদ সদস্যকে (এমপি) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে।

তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান (খুলনা-২) ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান (নরসিংদী-২)।

বুধবার (৪ এপ্রিল) পৃথকভাবে চিঠি দিয়ে কামরুল আশরাফ খানকে ১১ এপ্রিল ও মিজানুর রহমানকে ১৬ এপ্রিল সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মঞ্জুর মোর্শেদ ওই তলবি নোটিশ দিয়েছেন। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

দুদক সূত্র জানায়, সরকারদলীয় দুই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়েছে সংস্থাটি। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। এর অংশ হিসেবেই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডাকা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১৩৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঝালকাঠি-১ আসনের বজলুল হক হারুনকে (বিএইচ হারুন) তলব করে দুদক। তিনিও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। তাকে সংস্থাটিতে হাজির হতে হবে ১১ এপ্রিল। এ নিয়ে গত দুই দিনে ক্ষমতাসীন দলের তিন জনকে ডাকল দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।

কামরুল আশরাফকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, সার পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কামরুল আশরাফ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তা পৌঁছে দেয়ার নাম করে আর পৌঁছে দেননি। পরবর্তী সময়ে এসব সার বিক্রি করে অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন। এই অর্থের ভাগ সরকারি কজনকেও দেয়া হয়। এই অবৈধ অর্থ দিয়ে বাড়ি-গাড়িসহ প্রচুর সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে অভিযোগ আসার পর প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।

মিজানুর রহমানকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে খুলনা সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারি কাজ নিজ পরিবারের সদস্যদের দিয়ে করিয়েছেন। নামমাত্র কাজ করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া মাদক ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

এর আগে গত ২ এপ্রিল ১২৫ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়ে বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়ার মিণ্টু, তার ছেলে তাবিথ আউয়াল, এম মোর্শেদ খান এবং হাবিব উন নবী খান সোহেলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। মোর্শেদ খানের ছেলে ফয়সাল মোর্শেদ খান এবং ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধেও শুরু হয়েছে এই অনুসন্ধান।