সাতক্ষীরা

আমরা টাউট নই,শিক্ষানবীশ আইনজীবী

By daily satkhira

April 06, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক গত ৩ এপ্রিল রাতে সম্পূর্ন বে-আইনী ভাবে ঘোষিত টাউটদের তালিকা প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ২১ জন শিক্ষানবীশ। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে ২১ জনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সাতক্ষীরা শহরের দক্ষিন কটিয়া এলাকার শেখ আব্দুস সবুরের ছেলে শেখ রাশীদুজ্জামান সুমন। তিনি বলেন, আমরা সবাই আইন বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত সাতক্ষীরা ল-কলেজসহ সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইতোমধ্যে এল এল বি ডিগ্রী লাভ করেছি। পরে আমরা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এ্যাক্ট ১৯৭২ এর ৬০(।।।) বিধি অনুযায়ী সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্যদের অধীনে নিন্মতম ৬ মাসের শিক্ষানবীশকাল হিসাবে চুক্তিবদ্ধ হই, যা অদ্যবধি চলমান। এমতবস্থায় গত গত ৩ এপ্রিল রাতে সম্পূর্ন বে-আইনী ভাবে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক কর্তৃক মিথ্যে তথ্যের ভিত্তিতে ২১জন শিক্ষানবীশকে টাউট উল্লেখ করে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই তালিকার মধ্যে আমি নিজে শেখ রাশীদুজ্জামান সুমন, জি,এম, ফিরোজ আহমেদ, মুকুল হোসেন, মোঃ লিয়াকত আলী, মোঃ আব্দুর রশিদ ও রুহুল আমিনসহ ৬ জন ২০১৭ সালের ২১ জুলাই বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত এম সি কিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ফল প্রাপ্তির অপক্ষোয় আছি। বাকি ১৫ জনের মধ্যে নারগিস পারভীন, পরিমল কুমার মন্ডল, অসীম কুমার দাস, ইশার আলী, শেখ মাহবুবুর রহমান, আবিদুল হক মুন্না, আজিজুল ইসলাম খান, রওশনারা, গণেষ চন্দ্র ঘোষ, সুজাম উদ্দিন, বিপ্লব কুমার মন্ডল, স্যামুয়েল ফেরদৌস পলাশ, এ.বিএম হাবিব রনি, মনির উদ্দিন ও নুর আলম সিদ্দিক বার কাউন্সিলে এম সি কিউ পরীক্ষার্থী। জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরি পরিষদ যাদেরকে ২০১৫/২০১৬ শিক্ষানবীশ কার্ড প্রদান করেছেন। এছাড়া নোটিশের মাধ্যমে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষানবীশ কার্ড দেওয়ার কথা বলে সমিতির রশিদের মাধ্যমে আমাদের কাছ থেকে নগদ এক হাজার টাকা গ্রহণ করেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষানবীশ কার্ড প্রদানের টাকা গ্রহণ করে প্রতারনার মাধ্যমে সম্পূর্ন বে-আইনী ভাবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এ্যাক্ট ১৯৭২ এর পরিপন্থি হয়ে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক গত ৩ এপ্রিল রাতে জেলা আইনজীবী সমিতির ১নং বিল্ডিং এর সম্মুখে পশ্চিম সাইডে দেওয়ালের গায়ে খোদাই করে ২১ জনের নামে টাউট তালিকা প্রকাশ করেছেন। যা টাউট আইন ১৮৭৯ এর ৩৬ ধারার পরিপন্থি। অতি উৎসাহী হয়ে তারা আইনের পরিপন্থি কাজ করেছেন। আÍা সাতক্ষীরা বারের রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের শিকার।এঘটনায় আমাদের পিতা-মাতাসহ আত্মীয় স্বজনদের মান হানির পাশাপশি সমাজে আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করা হলো। এঘটনায় তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান। তারা এব্যাপারে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সকল প্রশাসনিক কার্যালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।

৫.৪.১৮