ডেস্ক রিপোর্ট: আমাদের দেশে শীতকাল বড় কম; তবুও বাইরে ঠান্ডা পড়ে, মাঝেমধ্যে বেশ পড়ে। শীতকালও হতে হবে স্বাস্থ্যকর। শরীর যখন লুকিয়ে ঢুকতে চায় ওম গরমে, আবহাওয়া যা-ই হোক, সুস্থ সবল থাকা চাই।
ঘুম যেন হয় ঠিকমতো শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য রাতে সুনিদ্রা বড় প্রয়োজন। শীতকালে আমরা স্বাভাবিকভাবেই বেশি ঘুমাই। আর এই সময় রাতও লম্বা। তবে শীতে নিদ্রাকাল বাড়লেই ভালো। দুধ খাবেন বেশি শীতের সময় ঠান্ডা-সর্দি লাগার আশঙ্কা বেশি। তাই দেহে প্রতিরোধ ব্যবস্থা যাতে ভালো থাকে, সেটি নিশ্চিত করা চাই। দুধ ও দুগ্ধজাতদ্রব্য, যেমন—দই, পনির এসব খাওয়া ভালো। এগুলো প্রোটিন, ভিটামিন এ ও বি১২-এর ভালো উৎস। ক্যালসিয়ামেরও ভালো উৎস। এগুলো খেলে হাড়ও থাকে মজবুত। তবে ননি তোলা দুধ, লো ফ্যাট দই বেছে নিতে হবে। বেশি বেশি খাবেন ফল-সবজি বাইরে বেশ ঠান্ডা ও অন্ধকার, তখন অস্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত ফাস্টফুড খেতে যেন মন চায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, স্বাস্থ্যকর খাবার খেতেই হবে। প্রতিদিন প্রচুর ফল ও সবজি খাওয়া চাই। খুব মিষ্টি কিছু যদি খেতে মন চায়, তাহলে মিষ্টি ফল খেজুর নয় কেন? শীতের সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, বরবটি, গাজর, ওলকপি ও মূলা কতভাবেই খাওয়া যায়—ভাপে সেদ্ধ, ঝোল, স্যুপ, নিরামিষ। পাশাপাশি খাবেন বাহারি ফল। অলস জীবন নয় শীতের দিন-রাত অলস জীবনযাপন নয়। লেপমুড়ি দিয়ে বসে থাকা চলবে কেন? বরং পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন—বেড়িয়ে আসুন দূরে কোথাও। শীতের সময় ভ্রমণেও মজা। এ ছাড়া নতুন কোনো খেলা খেলুন। দড়িলাফ দিন। পাহাড় বেয়ে ওঠুন। আর জানেন তো, নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের ওজন ঠিকঠাক থাকে। দেহ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হয় উজ্জীবিত। ঘরের ভেতর থেকে মন কেন হাঁপিয়ে উঠবে? বেরিয়ে পড়ুন, দুশ্চিন্তা যাবে উবে। চাই স্বাস্থ্যকর সকালের নাশতা সকাল পরিজ বেশ মজা হবে খেতে। শীতের সকালে এক বাটি পরিজ। আহ্! পরিজ বানাতে পারেন ওটস, ননি তোলা দুধ দিয়ে। সঙ্গে যোগ করতে পারেন শুষ্ক ফল। সঙ্গে যোগ করুন চাকচাক করে কাটা কলা। চিনি বা লবণ যোগ করবেন না। এ ছাড়া দুধ-মুড়ি, খই-দুধ, নাড়ু বেশ মজা। সঙ্গে খাবেন ফল, ফলের রস। শ্বেতসার ও আঁশ থাকবে খাবারে। সবজিও থাকা চাই। এতে পেট ভরা থাকে দীর্ঘক্ষণ। মধ্য সকালে ভরপেট নাশতার লোভ চলে যায় ভরপেট প্রাতরাশ খেলে। ওটমিলও বেশ ভালো প্রাতরাশ। ভিটামিন ও খনিজের ভালো উৎস।