টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নবগঠিত এস্পায়ার পার্টি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ওপর হামলার ঘটনা কমিউনিটিকে অবহিত করতে এস্পায়ার পার্টির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গত শনিবার বিকালে পূর্ব লন্ডনের একটি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হামলার শিকার কাউন্সিলর প্রার্থী বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার কাজ থেকে বিরত রাখতে আমাকে হত্যার উদ্দেশেই এই হামলা হয়েছে। আল্লাহ সহায় আমি বেঁচে গেছি। যেভাবে আমার মাথায় আঘাত করা হয়েছে আমার মনে হয়েছে আমি মারা যাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে এস্পায়ার পার্টির মেয়র প্রার্থী অহিদ আহমদসহ প্রায় সকল কাউন্সিলর প্রার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা বলেন, কোনো ভয়ভীতি দেখিয়ে লাভ হবে না। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। আগামী ৩ মে জনগণ তাদের রায়ের মাধ্যমে এর জবাব দেবে। তারা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের প্রতি আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় এই ঘটনায় বর্তমানে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। হামলা পর থেকে তাদের দলের প্রার্থীরা বিশেষ করে মহিলা প্রার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলায় টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নবগঠিত এস্পায়ের সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন শুক্রবার বিকেল ৬টার দিকে তার নির্বাচনী এলাকা ওয়াপিংয়ের রিয়াডন হাউজে নির্বাচনী প্রচার কাজের জন্য গেলে সেখানে পেছন দিক থেকে আঘাত করলে তিনি মারাত্মক আহত হন। পরে তিনি পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্স কল করলে তারা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয় ওই প্রার্থীকে গত দুই সাপ্তাহ আগে ওয়াপিং মসজিদে লিফলেট বিতরণ করার সময় একজন যুবক হুমকি প্রদান করেছিল।
আহত কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন তার বক্তব্যে উক্ত ওয়ার্ডের এক প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে বলেন, গত দুই সপ্তাহ আগে আমি ওয়াপিং মসজিদে লিফলেট বিতরণকালে ওই প্রার্থীর ভাই পরিচয়ে দিয়ে উক্ত মসজিদে লিফলেট বিতরণে বাধা প্রদান করেন এবং নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে আমি আমার দলের লিডারদের জানালে তারা আমাকে আবারও ওই ব্যক্তি বাধা দিলে পুলিশে ইনফর্ম করতে বলেন। তবে কে তাকে আঘাত করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই ব্যক্তির মুখ কাপড়ে আবৃত্ত থাকায় আমি তাকে চিনতে পারিনি। তবে পুলিশ তদন্তে নিশ্চয় বের হয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, আগামী ৩ মে ব্রিটেনজুড়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা।