মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় ৭১ এর বর্ধ্যভুমি সংরক্ষণের দাবীতে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ড। সোমবার বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭১ এর বর্ধ্যভুমি/গণকবর চিহ্নিত করে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী সংরক্ষণ ও স্মৃতি সৌধ/স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার সির্দ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ১৯৭১ সালে সাতক্ষীরা শহরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পাক হানাদার বাহিনী স্কুলে আশ্রয় নেয়া ভারতগামী শরনার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা করে শত শত নারী পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। তাছাড়া অসংখ্য মানুষ এই হত্যাযজ্ঞে আহত হয়। পরবর্তীতে উদ্যোগের অভাবে উক্ত বর্ধ্যভুমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি। শহর থেকে ১৫ কিঃ মিটার যশোর সংলগ্ন সাতক্ষীরার অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্র ঝাউডাঙ্গা বাজার ৭১ এর এপ্রিলের শেষে খুলনা অঞ্চল থেকে প্রাণভয়ে পালানো কয়েক শত শনণার্থী পরিবার ভারতে যাওয়ার পথে ঝাউডাঙ্গায় পৌছালে পাক-বাহিনী অতর্কিতভাবে নির্বিচারে গুলি করে শতাধিক নারী-পুরুষ হত্যা করে এবং অসংখ্য মানুষ আহত হয়। গণ হত্যা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। তাই এ মুহুর্তে দু’টি বর্ধ্যভুমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য সাতক্ষীরাবাসী গতকয়েক বছর ধরে এবং এ বছরে উক্ত বর্ধ্যভুমিতে নানাবিধ কর্মসুচি ও গণহত্যা দিবস পালন করেছে। ৭১ এর বর্ধ্যভুমি সংরক্ষণের দাবীতে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু, ডেপুটি কমান্ডার আবুবক্কর সিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সদস্য আব্দুর রহিম ও সদর উপজেলার সদস্য আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ।