কোটিপতি লোক শুনেছেন, কিন্তু কোটিপতি সারমেয় শুনেছেন কখনও৷ তাও আবার একটা দুটো নয় গ্রামের সবকটি সারমেয় কোটিপতি৷ ভারতের গুজরাটের মেহসানার পাশেই রয়েছে পাঞ্চোট নামের একটি গ্রাম৷ সেখানে রয়েছে ‘মন্দ নি পতি কুতরিয়া ট্রাস্ট’ নামের একটি সারমেয়দের সংস্থা৷
জানা গেছে, এই ট্রাস্টের কাছে আছে ২১ বিঘা জমি৷ এই গ্রামেরই প্রতিটি কুকুর কোটিপতি৷ প্রতিটি সারমেয়র খাতায় তাদের নামে এক কোটি করে টাকা রাখা আছে৷ বাইপাসের পাশেই অবস্থিত সেই জমির দাম প্রায় ৩.৫ কোটি টাকা প্রতি বিঘা৷ সংস্থাটির কাছে রয়েছে প্রায় ৭০টি সারমেয়৷ সেই হিসাবে এখানের যতগুলি সারমেয় রয়েছে তাদের প্রত্যেকের ভাগে আসবে এক কোটি টাকা৷
সংস্থার অধ্যক্ষ ছগনভাই পটেল জানিয়েছেন, সারমেয়দের জন্য আলাদা ভাগ রাখার প্রচলন বহু বছর আগে থেকেই চলে আসছে৷ এটা একটা প্রথা৷ এটা জীবের প্রতি দয়া ও প্রেমের পরিচয় দেয়৷ বিত্তবানদের জমির ছোট ছোট টুকরো দান করার পর থেকে এই পরম্পরার শুরু হয়েছিল৷
ছগনভাই পটেল আরও বলেন, সেসময় জমির দাম এত বেশি ছিলনা৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ তাদের ট্যাক্সের টাকা দিতে না পারায় নিজেদের জমি দান করে দেন৷ চাষিদের একটা বড় অংশ ৭০ থেকে ৮০ বছর আগে জমির রক্ষণাবেক্ষণ শুরু করে৷ ৭০ বছর আগেই এই জমিগুলি ট্রাস্টের কাছে চলে যায়৷ কিন্তু আজও সেই জমি গুলির মালিকের নামের জায়গায় তাদের নামই রয়ে গেছে৷
সংস্থার অধ্যক্ষ জানান, জমির দাম বাড়ার পরেও কেউই তাদের দান করা জমি ফেরত নেননি৷ এখানকার মানুষের দান করা জমি আবার ফেরত নেওয়া খুব খারাপ কাজ বলে মনে করা হয়৷ ফসল ফলানোর আগে এই সংস্থাটি তার নিজের জমির একটা প্লটের নিলামি করে৷ যে ব্যক্তি নিলামে সবথেকে বেশি দাম দেয় তাকেই সারা বছরের জন্য সেই জমিটিতে চাষ করার অনুমতি দেওয়া হয়৷ নিলামির থেকে পাওয়া টাকা প্রায় এক লক্ষের আশেপাশেই থাকে৷ সেই টাকা দিয়েই গ্রামের সারমেয়গুলির খরচ বহন করা হয়৷ তাদের সেবা করা হয়৷