কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে গরমের তাপদাহ। আর এই গরমে বদহজম, অতিহজম আবার গরহজমের সমস্যা দেখা দেয় বছরের যে কোন সময়ের তুলনায় একটু বেশি। বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাতো রয়েছেই।
আর অনিয়মিত খাবার গ্রহণ, কম নিদ্রা ও অস্বাভাবিক লাইফস্টাইল হজম প্রক্রিয়ায় নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই এই গরমে একটু সচেতনার সঙ্গে খাবার গ্রহণ করলেই পেটে পীড়া থেকে শুরু করে নানান সমস্যার মুক্তি মিলবে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক, পাকস্থলি কার্যকর রাখতে অতি প্রয়োজনীয় ৫ খাবার ও তার পুষ্টিগুন…
১. কলা হলুদ আবরণে ঢাকা কলার উপকারিতা যে কি, তা যদি কেউ জানতো দিনে অন্তত দুটি কলা খেতো। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে কলার অন্দরে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটে। চিকিৎসা শাস্ত্রমতে কলার মধ্যে পেকটিন নামক এক ধরণের রাসায়নিক উপাদান থাকে যা মানুষের হজমক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়।
২.পেপে পাকা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, প্রোটিন, পুষ্টি ও মিনারেল। তেমনি কাঁচা পেঁপেতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন। পুষ্টি এবং ভেষজগুণে ভরপুর এই ফলটি কাঁচা অবস্থায় সবজি, সালাদ, চাটনি, ভর্তা, আচার বানিয়েও খাবারের উপযোগী করা যায়। এছাড়া আরো বিভিন্নভাবে এটিকে ব্যবহার করা হয়। কাঁচা পেঁপের তরকারি লিভার বৃদ্ধিরোধ করে এবং পাইলসের সমস্যা দূর করে।
প্রতিদিন দুপুর ও রাতের খাবারের পর এক টুকরো কাঁচা পেঁপে ভালো করে চিবিয়ে খেলে এবং তারপর এক গ্লাস পানি খেলে সকালে পেট পরিষ্কার হয়। গ্যাস্ট্রিক ও বদহজমের কষ্ট দূর হয়ে যায়। ওষুধ হিসেবে কাঁচা ও পাকা পেঁপের অনেক গুণ রয়েছে। যেমন-পেপটিন বা পেঁপের আঠারও অশেষ গুণ। নিয়মিত পেঁপের তরকারি খাওয়া পেটের অসুখ ও হৃদরোগ সারাতে বেশ ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখে। যাদের খাবার ঠিকভাবে হজম হয় না, তাদের জন্য কাঁচা পেপে খুবই উপকারী।
৩. আদা হজমে সমস্যা সমাধান করতে এবং পেটে ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে ১ কাপ আদা চা পান করলে পুরোদিন পেট ফাঁপা বা বদহজম থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
৪. দই দুধ থেকে ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়ার পচনে দই তৈরি হয়। দই খেলে হজম শক্তি বাড়ে। বিশেষ করে, যারা কোষ্ঠকাটিন্যে ভোগে, তাদের জন্য দধি খুব উপকারী হবে।
৫. জিরা জিরা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে ত্বক, চুল ও হজমের জন্য জিরার অনেক ভেষজ গুন রয়েছে।