কলারোয়া

কলারোয়ায় ইভটিজিং রোধে সোচ্চার ইউএনও; ৮ মাসে ১৮ জনের দন্ড

By Daily Satkhira

April 14, 2018

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলাকে ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে বিভিন্ন কার্যক্রম আর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা পারভীন। তিনি কলারোয়াতে যোগদানের পর হতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে উপজেলার প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীসহ স্থানীয় মেয়েরা যাতে ইভটিজিংএর শিকার না হন সেজন্য গণসচেতনতার পাশাপাশি নানান উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। যোগদানের গত ৮মাসে ১৮জন বখাটেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড, আর্থিক জরিমানা দিয়েছেন তিনি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংযোগ সড়ক, স্কুল গেইটে ও শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়ার রাস্তায় কোন ছেলে কোন মেয়েকে উত্যক্ত করার খবর পেলেই ছুটে যান সেখানে, তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে সত্যতা যাছাই-বাছাই করে রায় ঘোষনা করছেন। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ইতোমধ্যে তিনি বেশ কয়েকটি রায়ের মাধ্যমে ইভটিজারদের কারাদন্ড ও আর্থিক জরিমানাও করেছেন। বন্ধ করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন বাল্যবিবাহ রোধেও। ফলে প্রশংসিত হচ্ছেন সর্বমহলে।

ইউএনও মনিরা পারভীন জানান- ‘অফিসিয়াল মোবাইল ও অফিসিয়াল ফোন নাম্বার উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও শিক্ষার্থীদের নিকট দেয়া হয়েছে। যে কেউ ফোন বা মেসেজ করে যেকোন অপরাধের সনির্দিষ্ট তথ্য পাঠালে তরিৎ গতিতে আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।’ যে কোন মূল্যে কলারোয়া উপজেলাকে ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ মুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

ইউএনও’র দপ্তরে সেবা নিতে আসা পৌরসদরের মুরারিকাটি গ্রামের বাসিন্দা কলারোয়া গার্লস পাইলট হাইস্কুলের নবম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীর মা সাবিনা খাতুন জানান- ‘তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে এলাকার কয়েকটা বখাটে যুবক অশ্লীল প্রস্তাব ও কথাবার্তার মাধ্যমে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করতো। আমি বিষয়টি গত শনিবার ইউএনও স্যারকে জানালে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যেমে বখাটেকে কারাদন্ড প্রদান করেন। তার মেয়ে এখন নির্ভয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করতে পারছেন। আমরা ইউএনও স্যারের এই মহতী উদ্যোগে খুবই খুশী।’

ইউএনও অফিস সূত্রে জানা যায়- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন কলারোয়াতে যোগদান করেন গত বছরের ২৮ আগষ্ট। যোগদানের পর থেকে গত ৮ মাসে তিনি ১৮ জন বখাটেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা প্রদান করেছেন। এছাড়া উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বাল্যবিবাহ বন্ধের পাশাপাশি তিনি সেই সমস্ত ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছেন।’ তবে বিষয়টি নিয়ে এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন যে- উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা ব্যক্তি হিসেবে ইউএনও’কে আরো বেশি গণসচেতনার দিকে মনোনিবেশ করা উচিৎ।