রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকা থেকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ৩ নেতাকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেছে পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা। তাদের ছেড়ে না দেয়া হলে দেশ অচল করার হুমকি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার দুপুরে সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন অভিযোগ করেন, সংবাদ সম্মেলন শেষে চানখারপুলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সামনে থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নেয়া হয় তাদের।
তারা হচ্ছেন- পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, ফারুক হাসান, রাশেদ খানকে সাদা পোশাকের পুলিশ একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, ডিএমপি সদর দফতরে ক্রাইম কনফারেন্স চলছে। কাউকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কে সঙ্গত কারণে জানাতে পারছি না। পরে জানানো হবে।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন বলেন, ডিবি পরিচয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের আমরা কাউকে আটক কিংবা ডাকিনি। অন্য কেউ আটক করেছে কিনা তাও জানি না।
এর আগে সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনকারীরা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নুরুল হক নুর, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান ও ফারুক হাসান।
সোমবার দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের বিষয়েও আপত্তি তোলা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। ‘কোটা আন্দোলনের সেই চার নেতার একজন শিবিরের সক্রিয় কর্মী’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে বক্তরা বলেন, ‘ইত্তেফাক বিকেল ৫টার মধ্যে ক্ষমা না চাইলে কাল থেকে সকল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সমাজ পত্রিকাটি বর্জন করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, একটি কুচক্রীমহল আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী যখন ছাত্র সমাজের ক্ষোভের কথা বুঝতে পেরে দাবি মেনে নিয়েছেন তখন একটি মহল এটি বানচালের চেষ্টা করছে।