নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় পানিতে ডুুবে মৃত সন্তানকে দাফনের ৭দিন পর হত্যার নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলায় ২ সতিনপুত্র ও সতিনকে জেল হাজত খাটানো এবং তার সম্পত্তি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে জনার্কীন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শ্যামনগরের জয়নগর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে রুবেল হোসেন শফি। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমি কালিগঞ্জের দুদলি আল আমিন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। গত ৩বছর পূর্বে ৬ নং স্ত্রী হিসাবে কালিগঞ্জ উপজেলার লহ্মীনাথপুর এলাকার আয়ুব খানের কন্যা মমতাজ বেগমকে বিবাহ করেন। তাদের ঘরে মাহিন নামে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। তার বয়স দেড় বছর। গত ২৭/০৬/২০১৭ তারিখ বিকালে পিতা মাহিনকে নিয়ে বসতবাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে ঘুমিয়ে ছিলো। সকলের অগোচরে মাহিন পানিতে ডুবে মারা যায়। মরে ভেসে ওঠার পরে স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করে। সে সময় চাচা রাজগুল দ্রুত তার দাফনের চেষ্টা করলে স্থানীয়রা পুলিশে জানিয়ে দাফনের কথা বললেও তিনি কারো কোন কথা না শুনে তার দাফন সম্পন্ন করেন। ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সৎ মা মমতাজ, সৎ ভাই রব্বানি ও চাচা রাজগুল বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করে। এক পর্যায়ে মৃত্যুর ৭দিন পর রব্বানি ও রাজগুল আমাকে জোরপূর্বক মাদ্রাসা থেকে বাড়ি নিয়ে যায়। ঘরে নিয়ে আটক রাখে। পরে রব্বানি দা ও রাজগুল লাটিসোটা নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে । এসময় তারা বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন করে বলে, ‘আমরা যেটা শিখিয়ে দেবো সেটা সেভাবেই পুলিশের সাথে বলবি, তা না হলে তোকে মেরে ফেলবো, পুলিশ দিয়ে আটক করিয়ে জেল হাজত খাটাবো। এবং লাটি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। একপর্যায়ে তাদের ভয়ে সাথে পুলিশের সামনে গিয়ে বলি‘ মাহিন কে আমার সৎ মাতা জাহেরা বেগমের পুত্র সৎ ভাই রফিক গলা টিপে হত্যা করে আমার কাছে দেয় এবং আমি মাহিন কে পুকুরে ফেলে দেই। এরপর মমতাজ বেগম বাদী হয়ে আমাকে ২নং আসামী এবং সৎ ভাই রফিক কে ১ নং ও সৎ মাতা জাহেরা খাতুনকে ৩নং আসামী করে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। অথচ মাহিনের মৃত্যুর ঘটনার কিছুই আমি জানতাম না, সে সময় আমি কালিগঞ্জের দুদলি আল আমিন মাদ্রাসায় পড়াশোনায় ব্যস্ত ছিলাম। আর সৎ ভাই রফিক ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে তার শ্বশুর বাড়ি হাওয়াল ভাঙ্গীতে ছিলো। তাহলে কিভাবে আমি বা আমার ভাই রফিক মাহিনকে হত্যা করলাম। হত্যা যদি করা হলো তাহলে কেন ঘটনার ৭দিন পর তারা মামলা দায়েরের চিন্তা করলো এবং আমাকে ঘরের মধ্যে জিম্মি করে মারপিট করে মিথ্যা জবান বন্দি নিয়ে আমাকে এবং সৎ মাতা জাহেরা ও তার পুত্র রফিককে আসামী করে জেল হাজত খাটানো হলো। অথচ ঘটনার দিন রান্নাঘরে বসে আমার আরেক সৎ ভাই রব্বানি নেশা করছিলো। এটি পাশ্ববর্তী দুধওয়ালা কোহিনুর দেখেছিলো। পরবর্তীতে কোহিনুর একথা মানুষের সাথে বলতে গেলে রব্বানি দা নিয়ে কোহিনুর কে তাড়ায়। যে কারণে সে আর মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। তারা সম্পত্তি গ্রাসের জন্য আমার মত একজন নাবালকসহ আরো ৩জন নিরাপরাধ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। এব্যাপারে মিথ্যা মামলার হাত থেকে রক্ষা পেতে আমি, আমার ভাই রফিক ও সৎ মাতা জাহেরা খাতুন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।