নতুন করে আরও দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) অনুমোদন পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দুটি হলো খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মহিউদ্দীন খান।
এ নিয়ে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৯টিতে। দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়টি আদালতের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে আরও আটটি বিশ্ববিদ্যালয়।
মো. মহিউদ্দীন খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় দুটি অনুমোদনের প্রস্তাব আগেই পাঠানো হয়েছিল। এখন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি জেড এন আর এফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় নামের আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি স্থাপন করা হবে রাজধানীর গুলশানে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা ড. এম. জুবায়দুর রহমান।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন অনুমোদন পাওয়া বিশ্ববিদ্যলয়ের মধ্যে খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানা দেখানো হয়েছে ১৪০ কেডিএ, খান বাহাদুর আহছানউল্লা সড়ক, ছোট বয়রা, সোনাডাঙ্গা, খুলনা। আর আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানা দেখানো হয়েছে ২১৬/১ তালাইমারি, পোস্ট- কাজলা, রাজশাহী।
বিশ্ববিদ্যালয় দুটির প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম। এর আগে তিনি আহছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অনুমোদন নিয়ে তা পরিচালনা করছেন। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০-এর ৩৬ ধারা অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিশ্রুতিতে একই আইনের ৭-এর ১ ও ২ ধারা অনুযায়ী ২৩টি শর্তে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দুটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় দুটি স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে প্রধানমন্ত্রীর কর্যালয় থেকে গত ২৯ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয় দুটির অনুমোদন দেয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়।এটি স্থাপনের আবেদন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উসৈশিং এমপি। শামসুল আলম নামে একজন সিঙ্গাপুর প্রবাসী শাহ মখদুম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের আবেদন করেছেন। বিরোধী দলীয় নেতা নিজ নামে রওশন এরশাদ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ স্থাপনের আবেদন করেছেন। সাবেক এমপি এবং হুইপ এইচ এম গোলাম রেজা রাজধানীর সেনপাড়ায় সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ স্থাপনের অনুমোদন চেয়েছেন। ‘অ্যাপোলা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন করেছেন জাতীয় সংসদ সদস্য শামসুল আলম ভূঁইয়া। পটুয়াখালীর লাউকাঠিতে সাউথ রিজন ইউনিভার্সিটি স্থাপনের আবেদন করেছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ.স.ম. ফিরোজ। ইন্টারন্যাশনাল স্টান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি নামে রাজধানীর মহাখালীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আবেদন করেছেন ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম মোশাররফ হুসাইন। বাংলাদেশ বৌদ্ধকৃষ্টি প্রচার সংঘের প্রেসিডেন্ট এইচ এন ভেন সঙ্ঘনায়ক শ্রদ্ধানন্দ মহাথের ইউনিভার্সিটি অব অতীশ দীপঙ্কর বাজরাগজনি স্থাপনের অনুমোদন চেয়েছেন।