সংবাদ সম্মেলনের মধ্যেই এক সিনিয়র নারী সাংবাদিকের গালে চড় মেরে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন ভারতের তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিত। পরে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যাওয়ায় এবং এই ঘটনায় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি ওঠায় বাধ্য হয়েই ক্ষমা চেয়ে নেন রাজ্যপাল।
গতকাল মঙ্গলবার রাজ্যটির রাজভবনে একটি সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে বিরুদ্ধনগরের এক নারী অধ্যাপককে আটক করা হয়। অভিযুক্ত ওই নারী অধ্যাপক জানান তিনি রাজ্যপালের খুব কাছের মানুষ। এদিন তার ভিত্তিতেই সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেন রাজ্যপাল। সেখানেই অন্য সংবাদ কর্মীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন চেন্নাইয়ের (দ্য উইক) পত্রিকার স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট লক্ষী সুব্রম্মনিয়াম। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানান, সাংবাদিকরা ভিত্তিহীন প্রশ্ন করছেন। সংবাদ সম্মেলন শেষের পরই রাজ্যপাল ওই নারী সাংবাদিককে চড় মারেন বলে অভিযোগ।
ঘটনার পরই ওই নারী সাংবাদিক ট্যুইট করে রাজ্যপালের চড় মারার ছবিটি আপলোড করে দেন। একইসঙ্গে রাজ্যপালের এই ব্যবহারে খুব মর্মাহত হন বলেও জানান তিনি। এরপরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। গণমাধ্যমের কর্মী ও রাজনীতিকদের মধ্যেও বিষয়টি শোরগোল পড়ে যায়। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে চিঠি লিখে রাজ্যপালকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবিও তোলা হয়।
এরপরই সুব্রাম্মনিয়ামকে লেখা চিঠিতে রাজ্যপাল ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি জানান, ‘আমি আপনাকে আমার নাতনি হিসেবেই আপনার গালে আদর করে চড় মেরেছি। স্নেহ বা ভালবাসা থেকেই এই চড়টি মেরেছিলাম এবং একজন সাংবাদিক হিসেবে আপনার দক্ষতাকে প্রশংসা জানাতেই এই কাজটা করা হয়েছিল। কারণ আমিও একটা সময় প্রায় ৪০ বছর এই সাংবাদিকতার পেশায় ছিলাম’।
পরে ওই নারী সাংবাদিকও ট্যুইট করে চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যপালের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি গ্রহণ করেন।