মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধি: মৃত্যুর ১১ দিন পর মালয়েশিয়ায় নিহত শার্শা ও ঝিকরগাছার তিন যুবক তরিকুল ইসলাম তরিক (৩২), আজমিন হোসেন (২৬) ও ঝিকরগাছা উপজেলার ছোট-পোদেউলিয়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (৪২) এর লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের লাশ বাড়িতে এসে পৌছালে সেখানে এক হৃদয় বিদারকের সৃষ্টি হয়। স্বজনদের কান্নায় এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠে। বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে ওরা তিন জন পাড়ি জমিয়েছিল সুদুর মালয়েশিয়ায়। অনেকে জমি বিক্রি করে গিয়েছিল সেখানে। কাজ করে দেশে টাকা পাঠাবে। পরিবারের সবাই ভাল থাকবে। কিন্তুু বিধিবাম এক নিমিষে সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে তরিকুল, আজমিন ও সালাউদ্দিন এর পরিবারে মাঝে। নিহতরা হলেন, যশোরের শার্শা উপজেলার ধান্যখোলা গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে তরিকুল ইসলাম তরিক, শ্যামলাগাছি গ্রামের আবু তালেবের ছেলে আজমিন হোসেন ও ঝিকরগাছা উপজেলার ছোট-পোদেউলিয়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন। নিহতদের স্বজনরা জানান, গত ৮ এপ্রিল রাতে মালয়েশিয়ার জোহরবারু ফরেস্ট সিটিতে নির্মাণাধীন ৫০ তলা বিল্ডিংয়ে লিফট তৈরির জন্য এলোমিনিয়ামের কাজ করছিল। ৩২ তলায় লিফটের কাজ করার সময় লিফট ছিড়ে তারা তিন জনই ঘটনাস্থলে মারা যান। সে দেশের পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে রাখে। পরে সেখানকার বাংলাদেশী প্রবাসীরা যোগাযোগ করে ১১ দিন পর লাশ দেশে ফেরত পাঠায়।
শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন জানান, ঝিকরগাছার ছোট-পোদাউলিয়া গ্রামের সালাউদ্দিনের লাশ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নিজ বাড়িতে এসে পৌছায়। স্থানীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। শ্যামলাগাছি গ্রামের আজমিন হোসেনকে শালতা গ্রামে ও তরিকুল ইসলাম তরিককে ধান্যখোলা গ্রামে বাদ জোহর জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় এলাকার চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ সর্বস্তরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মৃত্যুর খবর পাওয়ার সাথে সাথে নিহতদের গ্রামের বাড়িতে যান শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্বরা।