ফিচার

রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন তারেক : ফখরুল

By Daily Satkhira

April 24, 2018

অনলাইন ডেস্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাসপোর্ট জমা দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন- সম্প্রতি আওয়ামী লীগের তরফ থেকে এমন দাবি ওঠার পর তার ‘ব্যাখ্যা’ দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তারেকের দেশ ছাড়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ফখরুল বলেছেন, ‘বিশ্বের অসংখ্য বরেণ্য রাজনীতিবিদ, সরকারবিরোধী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মতোই সাময়িকভাবে বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন এবং সঙ্গত কারণেই তা পেয়েছেন। এই প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক অংশ হিসেবেই তিনি যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগে তার পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন। সে দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী, তার পাসপোর্ট জমা রেখে তাকে ট্রাভেল পারমিট দেয়া হয়েছে। কাজেই এই মুহূর্তে বাংলাদেশের পাসপোর্ট তার কোনো কাজে লাগছে না। যখনই তিনি দেশে ফেরার মতো সুস্থ হবেন, তখনই তিনি দেশের অন্যান্য নাগরিকের মতোই পাসপোর্টের জন্য আবেদন জানাতে এবং তা অর্জন করতে পারবেন।’

তারেক রহমান লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাসপোর্ট জমা দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রথম এ তথ্য জানান।

শাহরিয়ার আলমের সমালোচনা করে তার দেয়া তথ্যকে অদ্ভুত, যুক্তিহীন ও বেআইনি আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদ ও নিন্দাও জানান ফখরুল।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কী কী কারণে একজন নাগরিক জন্মসূত্রে প্রাপ্ত নাগরিকত্ব হারাতে পারেন, এটাও যিনি জানেন না-, তেমন একজন ব্যক্তির শুধু এ ধরনের অনির্বাচিত সরকারের মন্ত্রী পদে থাকা সম্ভব এবং তা জাতির জন্য লজ্জাজনক।’

তিনি বলেন, ‘দেশবাসী জানেন যে, বর্তমান সরকারের তথাকথিত আন্দোলনের ফসল অবৈধ ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিন সরকারের নৃশংস রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে পঙ্গু অবস্থায় সুচিকিৎসার জন্য আদালতের অনুমতিক্রমে তারেক রহমান ২০০৮ সালে লন্ডনে যান এবং পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় এখনও সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। ইতোমধ্যে তার অনুপস্থিতিতে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ না দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার ও সরকারি দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বক্তৃতা-বিবৃতিতে এটা স্পষ্টতই প্রমাণিত যে, দেশে তারেক রহমানের জীবন নিরাপদ নয়।’

তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ ক্ষোভের সাথে লক্ষ্য করেছে যে, তাদের কষ্টার্জিত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে লন্ডন সফরকারী বিশাল বহরের একমাত্র অর্জন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সংগ্রহ করা তারেক রহমানের ২০০৮ সালে ইস্যু করা পাসপোর্টের তিনটি পাতা এবং বৃটিশ স্বরাষ্ট্র বিভাগের অসংখ্য ভুলে ভরা এক লাইনের রহস্যজনক একটি চিঠির ফটোকপি। কী বিচিত্র এই সরকার ! কী দুর্বল তাদের অপকৌশল।’

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমরা দৃঢ়তার সাথে স্পষ্ট ভাষায় দেশবাসীকে জানাতে চাই যে, জননেতা তারেক রহমান জন্মসূত্রে বাংলাদেশের একজন গর্বিত নাগরিক। তিনি তার এই প্রিয় দেশের নাগরিক ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন ইনশা’আল্লাহ।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, উপদেষ্টা পরিষদের বরকত উল্লাহ বুলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন