অনলাইন ডেস্ক: মাত্র ১২ বছর বয়স তার। অস্ট্রেলিয়া থেকে চলে এসেছেন ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে। সেখানে একটি রিসোর্টে ৪ দিন কাটিয়েও দেয় শিশুটি। সে তার বাবা-মায়ের ক্রেডিট কার্ড চুরি করেই এই অভিযানে বেরিয়ে পড়ে। আসলে মায়ের সঙ্গে একটু রাগারাগি হয় তার। হয়তো মা বকুনি দিয়েছিলেন। এ কারণেই সে ক্রেডিট কার্ডটি হস্তগত করে। তারপর প্রথমেই পার্থ থেকে জেটস্টার এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে চেপে বালিতে চলে আসে। এসব তথ্য জানায় চ্যানেল নাইন। তার মা এমা জানান, আমি তাকে একটা বিষয়ে ‘না’ করেছিলাম। এতেই সে রেগে যায়। এরপর তাকে পেলাম ইন্দোনেশিয়ায়। কিন্তু মা নাখোশ হয়েছেন এই কারণে যে, এত ছোট একটা বাচ্চা বিমানের টিকেট চাইলো আর তা দিয়ে দেওয়া হলো। অর্থাৎ, আমাদের সিস্টেমেই সমস্যা রয়েছে। আসলে কম বয়সীদের কাছে বিমানের টিকেট বিক্রির ক্ষেত্রে আমাদের আরো সাবধান হওয়া উচিত। খুব সহজেই এত ছোট বাচ্চার হাতে টিকেট তুলে দেওয়া হলো। তারা স্বপরিবারে এক ছুটিতে বালিতে এসেছিলেন। তাই বাচ্চাটির পক্ষে ফ্লাইট বুকিং দেওয়া এবং এখানে পৌঁছানো সহজ হয়েছে। এর আগেও নাকি সে একাই ফ্লাইট বুকিং দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মায়ের চিঠি না থাকায় তাকে টিকেট দেওয়া হয়নি। এদিকে খুঁজে পাওয়া গেছে বাচ্চাটিকে। সে জানিয়েছে, একটা রোমাঞ্চকর অভিযানের জন্যেই সে বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু এবার এয়ারলাইন্সে এক কর্মকর্তা তাকে জানায় যে টিকেট কাটতে তার মায়ের চিঠির প্রয়োজন হবে না। বালির একটি হোটেলে চার দিন ছিল সে। সেখানে একটি স্কুটারও ভাড়া করে সে। বিয়ার পান করে এবং সুইমিং পুলে গোসল করে। চ্যানেল নাইন জানায়, এই অভিযানে তার বাবা-মায়ের ক্রেডিট কার্ড থেকে ৬ হাজার ১০০ মার্কিন ডলার নাই হয়ে গেছে। বাচ্চাকে না পাওয়ার পরই পুলিশের শরণাপন্ন হয় বাবা-মা। পুলিশ জানায়, আসলে তার ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল বন্ধের ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। আবার তার পাসপোর্ট জব্দের ক্ষেত্রেও কোনো ক্ষমতা তাদের নেই, যদি না তার মালিক কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তবে এ ধরনের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না ঘটে তার জন্যে গোটা সিস্টেমের ফাঁকগুলো খুঁজে বের করবে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার পর থেকেই জেটস্টার এই নিয়ম চালু করে দিয়েছে যে, শিশুদের একা ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই অভিভাবকের অনুমতিপত্র লাগবে। সাধারণভাবে অস্ট্রেলিয়ান এয়ারলাইন্স ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের এক ভ্রমণের অনুমতকি দেয় না।