ধর্মগ্রন্থ বলছে, মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহস্ত। কিন্তু অনেক সন্তানই আছেন যারা মাকে একটা সময়ে যথাযথ সম্মান দেওয়া তো দূরের কথা, রীতিমত অবজ্ঞা করেন। আর এর জন্য দায়ী ধর্মীয় ও মানবিক শিক্ষার অভাব। মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালাবাসার শিক্ষাটা শৈশবেই শিশুর মগজে-মননে-অভ্যাসে গেঁথে দেওয়া উচিত।
মায়ের প্রতি সম্মান জানাতে ইন্দোনেশিয়ার একটি স্কুলে পালন করা হয় অসাধারণ এক রীতি। ওই স্কুলে প্রতিবছর বাধ্যতামূলকভাবে একটি অন্যরকম দিন পালন করা হয়। ওইদিন সব ছাত্র-ছাত্রীর মা-কে স্কুলে আমন্ত্রণ জানানো হয়। স্কুলের মাঠে শুরু হয় অনুষ্ঠান। সব ছাত্রকে নির্দেশ দেওয়া হয় নিজেদের মায়ের দুই পা পানি দিয়ে পরিস্কার করে মুছে দিতে। ছাত্ররা যত্নের সঙ্গে সেই নির্দেশ পালন করে।
কিন্তু কেন এই কর্মসূচি? কারণ, ইন্দোনেশিয়ার ছাত্রদের জীবনের প্রথম পর্ব থেকেই শেখানো হয়-ভবিষ্যত জীবনে তারা যেন বাবা-মায়ের যত্ন নিতে ভুল না করে। এর মাধ্যমে দেশটির শিশুদের বার্তা দেওয়া হয়-‘মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহস্ত।’ এটা ইসলাম ধর্মের বাণী। ওই রীতির মাধ্যমে শুধু মায়ের প্রতি নয় একজন নারীর প্রতিও বাল্যকাল থেকে শ্রদ্ধাবোধ তৈরী হওয়া সম্ভব বলে মনে করেন অনেকেই।
ইন্দোনেশিয়ার স্কুলের এই রীতি হায়দরাবাদ মিশন স্কুলেও পালন হয় বলে জানা গেছে।
ইসলামের খলিফা হযরত আলী বলেছেন, ‘যে মা তোমাকে কথা বলা শিখিয়েছেন তাঁর সাথে তীক্ষ্ণ ভাষায় কথা বলো না।’
আসুন, সুন্দর মানবিক বিশ্ব গড়ে তুলি, মাকে ভালোবাসি।