খেলা

দুরন্ত বোলিংয়ে সাকিবদের জয়

By Daily Satkhira

April 27, 2018

খুব বেশি বড় লক্ষ্য দেয়নি সাকিবদের দল। তারপরেও সাকিবদের হয়ে বিরতিতে কথা বলছিলেন বোলিং কোচ মুত্তিয়া মুরালিধরন। বোলারদের ওপর আস্থা রেখেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সেই বোলারদের দুরন্ত বোলিংয়েই ১৩ রানে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে হারিয়েছে সাকিবদের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

শুরুতে ভিন্ন কিছুর সুবাস ছড়াচ্ছিল পাঞ্জাব। ক্রিস গেইল ও লোকেশ রাহুল খেলছিলেন হাতখুলেই। দলীয় ৫৫ রানে রশিদ খান এনে দেন ব্রেক থ্রু। রাহুল ৩২ রানে বিদায় নিলে গেইলও থিতু হতে পারেননি। ব্যক্তিগত ২৩ রানে ফিরতি ক্যাচ দেন থাম্পিকে। সেই শুরু। পাঞ্জাবের হয়ে এরপর দাঁড়াতে পারেননি কেউ। ব্যাট হাতে ভূমিকা রাখার পর বল হাতেও ধারাবাহিক ছিলেন সাকিব। ফেরান অ্যারন ফিঞ্চ ও আগারওয়ালকে।

রশিদ খান ছিলেন আরও সফল। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২টি নেন সাকিব। বাকি দুটি নেন থাম্পি ও সন্দিপ শর্মা। সানরাইজার্সের বোলিংয়ে ১৯.২ ওভারে ১১৯ রানে অলআউট হয় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।

আইপিএলে এখন পর্যন্ত খুব বেশি বড় ইনিংস খেলতে পারেননি সাকিব। আগে তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২৭; প্রতিপক্ষ কলকাতা। বৃহস্পতিবার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষেও চেষ্টা করেছিলেন পুরোপুরি খোলস ছাড়াতে। পারেননি শেষ পর্যন্ত। ২৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে ফিরে গেছেন সাজঘরে। মনীশ পান্ডের সঙ্গে তার ৫২ রানের জুটিতে শুরুতে পাঞ্জাবকে ১৩৩ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় হায়দরাবাদ।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটিং আজকে ছিল ছন্নছাড়া। মাত্র ২৭ রানে একে একে ফিরে যান কেন উইলিয়ামসন, শিখর ধাওয়ান ও ঋদ্ধিমান সাহা। সাকিব যখন ক্রিজে নামলেন তখন চাপেই ছিল হায়দরাবাদ। সঙ্গে ছিলেন মনীশ পান্ডে।

সাকিব হয়তো ষষ্ঠ ওভারে স্রানের বলে ফিরে যেতেন তালুবন্দি হয়ে। ৫.২ ওভারে থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়েছিলেন। সাকিব আউট হয়ে গেছেন ভেবে হায়দরাবাদ ভক্তদের গ্যালারি হয়ে গিয়েছিল স্তব্ধ। অবশ্য পান্ডের আবেদনে স্বস্তি ফিরে আসে হায়দরাবাদ শিবিরে। রিপ্লেতে দেখা গেলো নো বল করেছিলেন স্রান! দ্বিতীয় জীবন পেয়ে এরপর ইনিংস মেরামতে নেমে পড়েন সাকিব ও স্রান।

কিছুক্ষণ ভূমিকা রেখে সাকিব ব্যক্তিগত ২৮ রানে ফিরে যান সাজঘরে। ২৯ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার। মুজিব উর রহমানের বলে ডিপ মিড উইকেটে আগারওয়ালকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব।

সঙ্গী পান্ডে হাফসেঞ্চুরি করেই দলকে পাইয়ে দিয়েছেন ১৩২ রানের সংগ্রহ। শেষ ওভারে পান্ডে ফিরে গেছেন ৫৪ রানের ইনিংস খেলে। ৫১ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ১টি ছয়। শেষ দিকে ইউসুফ পাঠান ২১ রানের ইনিংস খেলে পুঁজি বাড়ান।

প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ১৩২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় হায়দরাবাদ। পাঞ্জাবের পক্ষে ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৫টি উইকেটই নেন অঙ্কিত রাজপুত। ম্যাচসেরাও হন তিনি।