৪০ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্যালিফোর্নিয়ার ‘গোল্ডেন স্টেট কিলার’কে খুঁজে হয়রান হয়েছে। ডিএনএর সূত্র ধরে সম্প্রতি তাকে খুঁজে বের করা হয়। কেন এত সময় লাগল কুখ্যাত ওই অপরাধীকে খুঁজে বের করতে তার ব্যাখ্যা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারণ জোসেফ জেমস ডি অ্যাঞ্জেলো নামের সেই ব্যক্তি আগে পুলিশেরই সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন! আর তিনি নিজের এলাকাতেই এসব জঘন্য অপরাধ করেছেন। এসব অপরাধের পর কোথাও যাননি। নির্বিকারভাবে পরিবার নিয়ে সেই এলাকাতে ছিলেন তিনি।
এফবিআই তাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল। কিন্তু কিছুতেই তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। মোট ১২টি খুন, ৫০টি ধর্ষণ এবং কয়েক ডজন বাড়িতে লুটপাটের ঘটনায় জড়িত ছিলেন জোসেফ। বুধবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ৭২ বছর বয়সী জোসেফকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।
১৯৭৪ থেকে ১৯৮৬ সালের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার অরেঞ্জ কাউন্টি এলাকায় ত্রাস ছড়িয়েছিল জোসেফ। রাতের বেলা বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ চালাত সে। পুরুষদের সামনেই মহিলাদের ধর্ষণ করত। কেউ বাধা দিতে গেলে খুন করত। ধর্ষণের পরে লুটপাট চালিয়ে পালাত। ১৩ বছরের কিশোরী থেকে ৪১ বছরের নারী, কাউকেই ছাড়ত না সে। পরপর কয়েক বছর খুন-ধর্ষণ চালাত, তার পর কয়েক বছর চুপ থাকত। এভাবে তিন দফায় তাণ্ডব চালায় জোসেফ। গোয়েন্দারা ভেবেছিলেন, এই সব তিন জন দুষ্কৃতীর কাজ।
১৯৮৬-র পরে এ ধরনের আর ঘটনা ঘটেনি। দুষ্কৃতীও অধরা থেকে যায়। গোয়েন্দাদের দাবি, নিজে পুলিশে চাকরি করতে বলেই এত দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পেরেছিল জোসেফ। কয়েক সপ্তাহ আগে গোয়েন্দাদের হাতে কিছু ডিএনএ প্রমাণ আসে, যার সাহায্যে জোসেফকে শেষ পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়। স্যাক্রামেন্টোর শহরতলিতে জোসেফের বাড়ি।