কলারোয়া

কলারোয়ায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে

By Daily Satkhira

April 28, 2018

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ায় গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। চাষের অনুকূল আবহাওয়ায় বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছেড়ে গেছে। মাঠের পর মাঠ জুড়ে এখন বোরো ধানের হিল্লোল। আগাম জাতের ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা সম্পন্ন হবে। এখন একমাত্র ভয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ থেকে রক্ষা পাওয়া গেলে কৃষকের কষ্টের ফসল কৃষক ঘরে তুলতে পারবে । উপজেলা কৃষি অফিসার মহাসীন আলী জানান- ‘১টি পৌরসভা ও উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ১৩হাজার ২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। যদিও লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১২হাজার হেক্টর। সেই হিসেবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে।’ গত মৌসুমে বোরো ও আউস ধানের ফলন বিপর্যয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবারে এলাকায় অনেক বেশি জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। আর ফলন দেখেও মনে হচ্ছে বাম্পার ফলন হবে। তবে এখন কৃষকের একমাত্র আশঙ্কা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। তা থেকে রক্ষা পেলে তারা সোনালী ধান ঘরে তুলতে পারবে। উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া, সোনাবাড়িয়া, কেড়াগাছী সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর বীজ সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধানের চাষ এবারের চেয়ে প্রায় অর্ধেক উৎপাদন হয়েছিল। এবারে কৃষকরা পুষিয়ে নিতে গত বছরের থেকে প্রায় দ্বিগুণ ধান চাষ ও উৎপাদন তারা ঝুঁকেছেন। বাকসা গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান- ৩ বিঘা জমিতে এবারে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০ কাঠা জমির আগাম স্থানীয় বি-২৮ জাতের ধান কাটা হয়েছে। ধানের ফলন অত্যন্ত ভালো। একই ভাবে বাগাডাংগা গ্রামের মাস্টার শাহিনুর রহমান জানান- জমির ধান বেশী ভাগ পেকে গেছে, ধানের ফলন গত কয়েক বছর থেকে ভালো। তবে সব জিনিসের দাম বেশী হবার কারণে শ্রমিকের দামও বেড়ে গেছে। ফলে ধানের ন্যায্য মূল্য না পেলে পুষাবে না। বর্তমানে এলাকায় ধানের মূল্য ১২০০/- টাকা। এক বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করতে ১৮-২০ হাজার টাকা খরচ হয়। এদিকে কৃষির উপকরণসহ সকল দ্রব্য মূল্যে ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি কৃষকরা চাচ্ছেন উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য। ধানের উপযুক্ত মূল্য না হলে আগামীতে ধান চাষ ব্যাহত হবে এমনটি আশঙ্কা সুধীমহলের। সরকার নিধারিত বিক্রয় মূল্য বেধে দিলেও এ ধান প্রকৃত কৃষকরা গোডাউনে ন্যায্য মূল্য পাবে কি না এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এজন্য সরকারের বাস্তবমুখী পদক্ষেপের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন অভিজ্ঞমহল। বোরো ধানের বাম্পার ফলন প্রসঙ্গে কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন- ‘গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী পরিমাণ জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।’ বর্তমানে শতকরা ৫ ভাগ জমির ধান কাটা পড়েছে। কিছু ধান কাঁচাসহ শ্রমিক সংকট রয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে চলতি বছর বোরোর রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন হবে। দুর্যোগ এড়াতে তিনি ধানের ৯০ ভাগ পেকে গেলেই অতিসত্বর কেটে নেয়ার পরার্মশ দিয়েছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। ধান ক্রয় ব্যাপারে তাঁর তেমন হাত নেই। তবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার পদক্ষে করবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।