নিজস্ব প্রতিবেদক : জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে আশাশুনির শ্রীউলায় একই পরিবারের ৭জনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় শ্রীউলা এলাকার নাশকতা মামলার আসামী ও চিহ্নিত ভূমিদস্যু ভুট্টসহ ৬জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। রোববার বিকালে আশাশুনি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানাগেছে, রেকর্ডীয় সম্পত্তির সামনের খাস সম্পত্তি নিয়ে আশাশুনি উপজেলার কলিমাখালী এলাকার ফজলুর রহমান গাজীর ছেলে শ্রীউলা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক একাধিক নাশকতা মামলার আসামী হযরত আলী ভুট্ট গংদের সাথে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিলো একই এলাকার শওকত আলীর ছেলে আঃ আবুল কালামের সাথে। এর জের ধরে গত ২৮এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে ভট্টু, হকমান গাজীর ছেলে তাসকিন, জিয়াউর রহমান, ফজলুর রহমান গাজীর ছেলে ওসমান গাজী,আব্দুল আজিজের ছেলে মুজাহিদুল মিন্টু মোন্তেজ আলী মিস্ত্রির ছেলে ছামাদ মিস্ত্রিসহ ১০/১৫ ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে আবুল কালামের বাড়িতে প্রবেশ করে ঘর বাড়ি ভাংচুর শুরু করে। এসময় তাদের বাধা দিতে গেলে আবুল কালাম, তার বৃদ্ধ পিতা শওকত আলী, মাতা রুপিয়া খাতুন, স্ত্রী লাকিয়া (৩০) ও আব্দুস সালামের স্ত্রী তাজবিলিন (২৫) কে চায়নিজ কুড়াল, দা কুপিয়ে ও লোহার রড় দিয়ে মারাত্মকভাবে মারপিট করে। এতে তারা মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় ছুটে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাদের দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে আহতরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখনো পর্যন্ত আহতদের অবস্থার উন্নতি হয়নি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে ভুট্টসহ ৬ নামের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার নং-২০। এদিকে স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, উল্লেখিত হযরত আলী ভুট্ট শ্রীউলা এলাকার চিহ্নিত ক্যাডার। বিগত ২০১৩ সালে জামাত-বিএনপির নাশকতার সময় তার নেতৃত্বে এলাকায় রাস্তাকাটা, গাছকাটাসহ বিভিন্ন নাশকতা মূলক কর্মকান্ড সংঘটিত হয়। সে সময় তার নামে কয়েকটি নাশকতার মামলাও হয়েছিলো। কিন্তু পরবতীতে স্থানীয় কতিপয় আ’লীগ নেতাকর্মীদের ছাত্রছায়ায় এখনো বহাল তবিয়তে ভুট্ট। সে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। সে ওই কতিপয় আ’লীগ নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় এলাকার জমি দখল, মৎস ঘের লুটপাটসহ সাধারণ মানুষকে জিম্মি কে এলাকায় ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করে চলেছে। এছাড়া ১৯৯৬ সালে সাবেক এমপি প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা ডা: মোখলেছুর রহমানকে হত্যার হুমকিও প্রদর্শন করেছিলো। এলাকাবাসী অবিলম্বে ওই সন্ত্রাসী প্রকৃতির ভুট্টসহ তার দোসর দের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এঘটনায় আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এঘটনায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।