অনলাইন ডেস্ক: সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ সংসদীয় আসনের ২০0৮ সালের পুনর্নির্ধারিত সীমানা বহাল রেখে জাতীয় সংসদের ২৫টি আসনের সীমানা পরিবর্তন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (৩০ এপ্রিল) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়েছে।
এর ফলে সাতক্ষীরা ৩ আসনের দেবহাটা উপজেলা, আশাশুনি উপজেলা ও কালিগঞ্জের ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে এবং সাতক্ষীররা ৪ আসনের শ্যামনগর উপজেলা ও কালিগঞ্জ উপজেলার ইট ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সীমানা বহাল থাকল।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রশাসনিক অখণ্ডতা ও স্থানীয় জনগণ এবং সংসদ সদস্যদের (এমপি) চাহিদার ভিত্তিতে সংসদীয় ২৫টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনেছে কমিশন। পরিবর্তন আনা সংসদীয় আসনগুলো হচ্ছে- নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-৩ ও ৪. সিরাজগঞ্জ-১ ও ২, খুলনা-৩ ও ৪, জামালপুর-৪ ও ৫, নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫, সিলেট-২ ও ৩, মৌলভীবাজার-২ ও ৪, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-৫ ও ৬, কুমিল্লা-৬, ৯ ও ১০ এবং নোয়াখালী-৪ ও ৫। সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিবর্তিত সংসদীয় আসনগুলো বেশির ভাগই ২০০৮ সালে নির্বাচনের সময়ের সীমানায় ফিরে গেছে। আর বাকি ২৭৬টি আসন দশম নির্বাচনের সময়ের মতো রয়েছে। তিনি বলেন, প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন আদমশুমারি রিপোর্টের ভিত্তিতে জনসংখ্যার অনুপাত, প্রশাসনিক সুবিধা, ভৌগলিক অখণ্ডতা বিবেচনায় নিয়ে সংসদীয় আসেন সীমানা পরিবর্তন করে থাকে। সে অনুযায়ী এবার আদমশুমারি রিপোর্ট প্রকাশিত না হলেও এমপি ও স্থানীয় জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে এসব আসনের সীমানায় এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর আগে ৪০টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনার কথা বলে নির্বাচন কমিশন। তবে ওই সময় কমিশনের খসড়া তালিকার ওপর ৬০টি দাবি আপত্তি ও সুপারিশ জমা পড়ে। সেগুলোর উপর শুনানি শেষে সোমবার চূড়ান্তভাবে ২৫টি আসনের সীমানা পরিবর্তন আনলো ইসি। তবে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ ও সাভারের সীমানা পরির্বতন আনতে চাইলেও সরকারের আপত্তির কারণে তা আনা হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।