ফিচার

রবিবার এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ

By Daily Satkhira

May 05, 2018

২০১৮ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হচ্ছে রবিবার (৬ মে)। প্রতিবছর দুপুর ২টায় ওয়েবসাইট, মোবাইলফোন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফলাফল পাওয়া গেলেও এবার তা এক ঘণ্টা আগে পাওয়া যাবে। অর্থাৎ এবার দুপুর ১টায় শিক্ষার্থীরা ফলাফল হাতে পাবে।

এর আগে সকাল ১০টায় শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফল হস্তান্তর করবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আর প্রধানমন্ত্রীর হাতে হস্তান্তরের পর শিক্ষামন্ত্রী সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করবেন দুপুর ১২ টায়। এরপর দুপুর ১টা থেকে ওয়েবসাইট, মোবাইলফোন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ফল পাওয়া যাবে।

এদিকে, এবারের ফলাফলেও লেটার গ্রেডের পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক নম্বরও জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তবে তা শুধু শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে। অবশ্য, শারীরিক শিক্ষা ও ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের নম্বর ওয়েবসাইটে যুক্ত থাকলেও এই দুই বিষয়ের নম্বর জিপিএ নির্ধারণে ভূমিকা রাখে না বলে জানিয়েছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

অন্যদিকে, এবারও ফলাফলে থাকছে না সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (সেরা–২০ ও সেরা–১০) তালিকা। ফলাফলের দিক দিয়ে শীর্ষ তালিকায় ঠাঁই পেতে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করছে, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকা তুলে দেয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। যা ২০১৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল থেকে কার্যকর করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সাল থেকে পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে (জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি) বোর্ডভিত্তিক সেরা ২০ ও জেলাভিত্তিক সেরা ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে আসছিল শিক্ষা বোর্ড। নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর শতকরা হার, শতকরা পাসের হার, মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ–৫ প্রাপ্তির হার, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও প্রতিষ্ঠানের গড় জিপিএ মূল্যায়নের ভিত্তিতে এ তালিকা করা হতো। এর আগে শতভাগ পাস এবং সর্বাধিক জিপিএ’র ভিত্তিতে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা হতো। যা গতবার (২০১৫ সাল) থেকে তুলে দেয়া হয়।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গত ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। লিখিত সৃজনশীল অংশের পরীক্ষা চলে ২৪ তারিখ পর্যন্ত। পরীক্ষায় সারা দেশের ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৯ জন অংশ নেয়। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ এবং ছাত্রী ছিল ১০ লাখ আট হাজার ৬৮৭ জন।