সাতক্ষীরা

আলিপুরে প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে আহত-১

By daily satkhira

May 07, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক : জমি নিয়ে বিরোধে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে সদর উপজেলার আলিপুরে আনারুল ইসলাম (৪২) নামের এক নিরীহ ব্যক্তিকে কুপিয়েছে একই গ্রামের খোরশেদ আলম (২৮) নামের এক দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী। সোমবার সকাল ৯টার দিকে তাদের রিবারিক কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসি ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে, আলিপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে খোরশেদ আলম একজন দুর্ধ্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা থানায় অর্ধ ডজনের বেশি অভিযোগ রয়েছে। সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আলিপুর গ্রামের মওলা বকস সরদারের ছেলে বাহাদুর ইসলামকে তাদের কবরস্থানে একা পেয়ে খোরশেদ ও তার পিতা জয়নাল আবেদীন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে গাছ কাটা দা ও বাঁশের লাঠি দিয়ে হামলা করে। এসময় একই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে (বাহাদুরের চাচাতো ভাই) আনারুল ইসলাম ঠেকাতে গেলে দুর্র্ধষ সন্ত্রাসি খোরশেদ আলম সেই দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে আনারুলকে। এলাকাবাসি তাদের চিৎকার শুনে হামলাকারীদের কবল থেকে আনারুল ও বাহাদুরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সাতক্ষীরা সদর থানার একাধিক পুলিশ অফসার জানান, খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে কমপক্ষে ছয়টি অভিযোগ জমা আছে। প্রত্যেকটি অভিযোগে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যুক্ত খোরশেদ। এমনকি খোরশেদ আলমের বোন সাবিনা খাতুনের স্বহস্তে লিখিত মুচলেকাও আছে পুলিশের হাতে। এলাকাবাসির অভিযোগ, খোরশেদ আলমের অত্যাচারে তারা নিরীহ গ্রামবাসি অতিষ্ঠ। জনপ্রতিনিধিরাও বাদ যায় না তার অত্যাচার থেকে। বাড়ির মহিলাদের উস্কানী দিয়ে গ্রামবাসির রান্নাঘরে মানুষের মল পর্যন্ত নিক্ষেপ করতেও দ্বিধা করেনি খোরশেদের মা রিজিয়া ও দাদি জেলেখা বেগম। মল নিক্ষেপের ঘটনায় থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ালে মুচলেকা দেয় খোরশেদ পরিবার। কিন্তু তাতেও খাছলত পাল্টায়নি। সপ্তাহ পার হতেই আবারো বেপরোয়া হয়ে ওঠে খোরশেদ। এবার কুপিয়েছে নিরীহ আনারুলকে। সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহমেদ জানান, ইতোপূর্বে গ্রামবাসি পৃথকভাবে কমপক্ষে ছয়টি অভিযোগ দেয় খোরশেদের বিরুদ্ধে। প্রত্যেক বারই থানার গোলঘরে বসাবসি হলে মুচলেকা দিয়ে রেহাই পায় খোরশেদ ও তার পিতা। এবার কুপিয়েছে আনারুলকে। খবর পেয়েছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবো।