জাতীয়

খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে

By Daily Satkhira

May 08, 2018

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের বিরোধিতা করে বক্তব্য উপস্থাপন করছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। শুরুতেই দুদক আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। বেলা ১১টা পর্যন্ত তা চলে। পরে বেলা ১১টার দিকে আদালত শুনানিতে বিরতি দেন। সাড়ে ১১টা থেকে আবার শুনানি শুরু হলে দুদক আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন।

শুনানির শুরুতে পেপার বুক থেকে মামলা সংক্রান্ত বিষয় আদালতের কাছে পড়ে শোনান দুদকের আইনজীবী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। এই লঘু দণ্ড জামিনের কোনো কারণ হতে পারে না। দুদক বিচারিক আদালতের এই লঘু দণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন করেছে।

এর বাইরে খুরশিদ আলম আদালতে বিচারিক আদালতের কয়েকটি আদেশ পড়ে শোনান। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আদালতের অনুমতি না নিয়ে লন্ডনে গিয়েছিলেন। চিকিৎসার কোনো সনদপত্র তিনি আদালতে জমা দেননি। এমনকি হাইকোর্টেও খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে কোনো সনদপত্র জমা দেওয়া হয়নি।

এ সময় আদালত খুরশিদ আলমের কাছে প্রশ্ন রাখেন, বয়স ও অসুস্থতা জামিনের কোনো কারণ হতে পারে কি না? খুরশিদ আলম আদালতকে বলেন, দণ্ড হওয়ার পর বয়স জামিনের কারণ হতে পারে না। বয়স বিবেচনায় নিয়েই বিচারিক আদালত খালেদা জিয়ার সাজা শুনিয়েছেন। একই কারণ দেখিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জামিন চাইছেন।

এর পর খুরশিদ আলম খান লঘু দণ্ডের জামিন নিয়ে উচ্চ আদালতের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন। হাইকোর্ট যে খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়েছিলেন সে ব্যাপারে খুরশিদ আলম আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়া কত দিন কারাগারে ছিলেন সে বিষয়টি সেখানে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। সর্বোপরি খালেদা জিয়ার জামিনের ঘোর বিরোধিতা করেন খুরশিদ আলম খান।

আদালতে শুনানির সময়ে আজ উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল মঈন খান প্রমুখ।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। এর পর থেকে খালেদা জিয়া নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। রায়ের পর আপিল করে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া, যার ওপর শুনানি নিয়ে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট তাঁকে চার মাসের জামিন দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করে।