ফিচার

ধুলিহরে চেয়ারম্যান বাবু সানার বিরুদ্ধে কর্মসৃজনের শ্রমিক দিয়ে ব্যক্তিগত পুকুর খননের অভিযোগ

By Daily Satkhira

May 09, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু সানার বিরুদ্ধে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচি (ইজিপিপি) শ্রমিকদের দিয়ে চেয়ারম্যান বাবু সানা তার ইচ্ছামত ব্যক্তিগত কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। চেয়ারম্যানের বাড়িতে ৪০ দিনের কর্মসূচির এসব শ্রমিকদের ৪/৫ জন প্রতিনিয়ত কাজ করেন। ধান কাটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যক্তিগত কাজ তাদের দিয়ে করানো হয় বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয় চেয়ারম্যানের পাশাপাশি তার ইউনিয়নের মেম্বাররাও তাদের বাড়ির ব্যক্তিগত কাজ এসব শ্রমিকদের দিয়ে করাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ৪০ দিনের কর্মসূচির কর্মসৃজন প্রকল্পের শতাধিক শ্রমিকদের দিয়ে চেয়ারম্যান বাবু সানা তার শরিকদের একটি বড় পুকুরের পাড় বাঁধানোর কাজ করাচ্ছেন। সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজসে ৪০ দিনের কর্মসূচিতে এসব কাজে হরিলুট চলছে। এমনকি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা তাদের নিজেদের পকেটের লোকের নাম কর্মসূচির তালিকায় দিয়ে তারা টাকা সমস্ত টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিচ্ছেন। ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে পুুরো ধুলিহর ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। বুধবার সকালে সাতক্ষীরা থেকে গণমাধ্যম কর্মীরা সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ির পুকুরে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করার সত্যতা পান। অথচ চেয়ারম্যানের লোকজন এই কাজকে মসজিদের পুকুর পাড় নির্মাণের কাজ বলে প্রচার দিচ্ছেন। ২নং ওয়ার্ডের মেম্বর আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মসজিদের পুকুর পাড় নির্মাণের কাজ চলছে কর্মসূচির লোক দিয়ে। এ সময় সাংবাদিকরা তার কাছে প্রশ্ন করেন মসজিদের নামে পুকুরটি আছে কিনা? এছাড়া এই কাজ কোন প্রকল্পের মাধ্যমে হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের তিনি কোন সদুত্তর তিনি দিতে ব্যর্থ হন। এবিষয়ে ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান বাবু সানা বলেন, কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে এলাকাবাসীর সুবিধার্থে মসজিদের পুকুর পাড় সংস্কার করেছেন শ্রমিকরা। এছাড়া ঘটনাস্থলে গেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এঘটনায় সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জালাল উদ্দিনের ব্যবহৃত ০১৭১৫ ২৮৭৬০০ নম্বারে বুধবার বিকেল ৫.৪৫ মিনিটে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।