কলারোয়া

লাভজনক হাইব্রীড শক্তি-২ ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছে সাতক্ষীরার কৃষকরা

By daily satkhira

May 10, 2018

মীর জাকির হোসেন: হাইব্রীড শক্তি-২ জাতের ধান চাষে সফল হওয়ায় সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী কলারোয়ায় এই জাতের ধানচাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে হাইব্রীড শক্তি-২ ধান চাষ করে একরপ্রতি গড় ১০০ মন ধান উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে। ১ একর জমিতে ১০০মন ধান উৎপাদন একটি অকল্পনীয় ব্যপার! যে কারনে সব দিকদিয়ে অধিক লাভজনক হওয়ার কারনে চাষীরা এই জাতের ধানচাষে মনযোগী হচ্ছে। ধানের এই বাম্পার ফলনে শুধু কলারোয়া নয়, এর প্রভাব তালা উপজেলা সহ আশপাশের উপজেলার কৃষকদের মাঝে পড়তে শুরু করেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে তালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চাষীরা হাইব্রীড ধান চাষাবাদ করে অন্য জাতের তুলনায় অধিক ফলন পায়। যে কারনে দিন দিন কৃষকরা হাইব্রীড ধানচাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। যুগোপযোগী হাইব্রীড শক্তি-২ জাতের ধানচাষে কৃষকদের সার্বিক সহযোগীতা প্রদান পূর্বক উদ্বুদ্ধ করনের কাজটি করে- বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক। ব্র্যাকের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বুধবার বিকালে কলারোয়ার যুগিখালী ইউনিয়নের গোচমারী গ্রামের আদর্শ কৃষক আনিচ আলীর বোরো ক্ষেত থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে হাইব্রীড শক্তি-২ জাতের ধান কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুগিখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রবিউল হাসান, তালা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বি. এম. জুলফিকার রায়হান, ব্রাকের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক আল মামুন হাওলাদার, কৃষিতত্ত্ববীদ আলিম খান, উপসহকারী কৃষি অফিসার তুষার কান্তি সরকার, ব্র্যাক কর্মী বিনয় কুমার শীল ও সীমান্ত কুমার সহ স্থানীয় কৃষক ও কৃষাণীরা। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, ব্র্যাকের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচীর আঙ্গিকে হাইব্রীড শক্তি-২ ধান চাষ করে অন্য জাতের তুলনায় অধিক ধান উৎপাদন হওয়ায় আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা দৃঢ় হচ্ছে। এজন্য তিনি হাইব্রীড শক্তি-২ ধান চাষের জন্য চাষীদের উৎসাহ প্রদান করেন। এছাড়া, কৃষকদের আরো বেশি কারিগরি পরামর্শ ও প্রশিক্ষন প্রদানের জন্য ব্র্যাকের সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্মকর্তাদের প্রতি তাগিদ দেন। সফল কৃষক আনিচ আলী জানান, ব্র্যাকের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন সহ সার্বিক সহযোগীতায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার, যথাযথভাবে সেচ ও সার ব্যবহার করে হাইব্রীড জাতের শক্তি-২ ধান চাষাবাদ করি। এই ধান চাষ করে একর প্রতি গড় প্রায় ১০০ মন শুকনো ধান উৎপাদন হয়েছে। এই ধান চাষে এমন অকল্পনীয় উৎপাদন হওয়ায় আগামীতে অত্র এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যপকভাবে হাইব্রীড শক্তি-২ ধান চাষাবাদ হবে বলে তিনি মনে করেন। এব্যপারে ব্র্যাকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক আল মামুন হাওলাদার বলেন, ব্র্যাকের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দিয়ে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রীড শক্তি-২ ধান চাষাবাদ করানো হয়। ফলে, আমাদের কাঙ্খিত অনুযায়ী কৃষকরা ধান উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে।