আন্তর্জাতিক

তীব্র আকারে ‘ইসরায়েল-ইরান’ যুদ্ধ

By Daily Satkhira

May 10, 2018

সিরিয়ার ভেতরে থাকা ইরানী অবস্থানগুলোর ওপর অনেকগুলো বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েল বলছে, গোলান মালভূমি এলাকায় তাদের সামরিক ফাঁড়িগুলোর ওপর ইরানী বিপ্লবী গার্ডের শাখা কুদস বাহিনী অন্তত ২০টি রকেট হামলা চালানোর পর তার জবাবেই তাদের এ আক্রমণ। তারা ইরানী লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলা চালিয়েছে – যার মধ্যে রয়েছে সিরিয়ার অভ্যন্তরে থাকা অস্ত্রের গুদাম, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণস্থল এবং গোয়েন্দা কেন্দ্র।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এভিগডর লিবারম্যান বলেছেন, সিরিয়ার ভেতরে ইরানের যতগুলো স্থাপনা ছিল তার প্রায় সবগুলোতেই আঘাত হেনেছে দেশের সামরিক বাহিনী।

সিরিয়ান সূত্রগুলো বলছে, ইসরায়েলের এসব হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছে। ইরানের দিক থেকে এসব হামলার ব্যাপারে কোন মন্তব্য করা হয়নি। সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদকে সাহায্য করতে ইরান সেদেশে সৈন্য পাঠিয়েছে।

ইসরায়েল আরো বলেছে, সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপরও হামলা চালানো হয়, কারণ ইসরায়েলের ভাষায় তারা সতর্ক করে দেয়া সত্বেও গুলিবর্ষণ করেছিল।

সিরিয়ান রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, কিছু ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে। দামেস্কের অধিবাসীরা শহরের আকাশে অনেকগুলো বিস্ফোরণ ঘটতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন।

ইসরায়েল বলছে তাদের সব যুদ্ধবিমানই নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে এসেছে। তবে তারা মনে করে ইরান তাদের অন্যতম শত্রু। কিছুদিন আগে থেকেই ইসরায়েল হুমকি দিয়ে আসছে যে সিরিয়ার ভেতরে ইরানকে তাদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে দেয়া হবে না।

কে আগে হামলা চালিয়েছিল?

ইসরায়েলি বাহিনীর একজন মুখপাত্র লে. জেনারেল কনরিকাস বলেছেন, কুদস্ বাহিনীর জেনারেল কাসেম সোলেইমানির আদেশে ইসরায়েল-অধিকৃত গোলানে রকেট হামলা চালানো হয়।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস নিশ্চিত করেছে, কুনেইত্রা প্রদেশ এবং দামেস্কের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের গ্রামগুলো থেকেন অনেকগুলো রকেট নিক্ষেপ করা হয় – অধিকৃত গোলান এলাকা লক্ষ্য করে।

কিন্তু কারা ওই রকেট হামলা চালায় তা চিহ্নিত করেনি এই সংস্থাটি, তবে বলেছে যে ইসরায়েলি বাহিনী বাথ নামে একটি সিরিয়া-নিয়ন্ত্রিত শহরে বোমাবর্ষণের পর ওই রকেট হামলা চালানো হয়।

ইরানী-নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোটের একটি সূত্র এএফপিকে বলেছেন – ইসরায়েলি বাহিনীই প্রথম গোলাগুলি করেছে।

জেনারেল কনরিকাস বলেন, চারটি রকেট ইসরায়েলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ দিয়ে আটকে দেয়া হয়। অন্যগুলো তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই মাটিতে পড়ে যায়, কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

সিরিয়ার ভেতরে থাকার ইরানের বিভিন্ন স্থাপনার ওপর এর আগে একাধিক বিমান হামলা চালানো হয়েছে – যেগুলো ইসরায়েলই চালিয়েছে বলে মনে করা হয়।

এপ্রিল মাসে একটি বিমানঘাঁটিতে এক হামলায় সাতজন ইরানী বিপ্লবী গার্ড নিহত হয়।