যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি নভোযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘স্পেসএক্স’-এর ‘ফ্যালকন ৯ ব্লক ৫’ রকেট থেকে গত রাতেই মহাকাশের দিকে রওনা হওয়ার কথা ‘বঙ্গবন্ধু-১’ স্যাটেলাইটের। ‘ফ্যালকন ৯’ রকেটের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হলো মহাকাশ গবেষণাবিষয়ক মার্কিন সংস্থা ‘নাসা’। কিন্তু বাংলাদেশ কিভাবে ‘ফ্যালকন ৯ ব্লক ৫’ অত্যাধুনিক রকেটের প্রথম ক্রেতা হলো, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
মহাকাশবিষয়ক মার্কিন গণমাধ্যম ‘স্পেস নিউজ’কে জয় বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, এটা ঘটে গেছে। মূলত এটা স্পেসএক্সের প্রস্তাব ছিল। আমরা কেবল তাতে রাজি হয়েছি।’
স্পেসএক্সের রকেটের নাম ‘ফ্যালকন ৯’। এই রকেটের সর্বশেষ আধুনিক সংস্করণ হলো ‘ফ্যালকন ৯ ব্লক ৫’। এই রকেট বেছে নেওয়ার নেপথ্যের গল্প শোনাতে গিয়ে জয় বলেন, ‘স্যাটেলাইট উেক্ষপণের জন্য বিটিআরসি দরপত্র আহ্বান করে। তাতে থেলস আরিয়ান ৫ রকেট পছন্দের তালিকায় সবার ওপরে ছিল। দ্বিতীয় পছন্দে ছিল স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেট।’
জয় বলেন, ‘বাংলাদেশের চাওয়া ছিল, নির্দিষ্ট সময়ে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপন করতে হবে। মূলত এই সময়সীমাই স্পেসএক্সকে সুযোগ করে দেয়। কারণ আরিয়ান স্পেস প্রত্যাশিত সময়ে (২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর) স্যাটেলাইট উেক্ষপণের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি।’
আরিয়ান স্পেসের রকেটটি মূলত দুটি স্যাটেলাইট বহন করতে পারে। একটি ওপরের অংশে এবং ছোট একটি নিচের অংশে। এই দুটি অংশে একসঙ্গে দুটি স্যাটেলাইট পাঠানো গেলে খরচ কম পড়ে। কিন্তু দুটি স্যাটেলাইট সমন্বয় করে পাঠাতে গেলে বাংলাদেশ ছাড়া আরো একজন ক্রেতা প্রয়োজন, যা সময়ের ব্যাপার।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আকৃতির কারণে আমাদের স্যাটেলাইটটি আরিয়ান-৫ রকেটের নিচের অংশের জন্য উপযুক্ত। সে ক্ষেত্রে তারা সময়ের ব্যাপারে আমাদের নিশ্চয়তা দিতে পারছিল না। ওই অবস্থায় আমরা যখন বিকল্প খোঁজ করছিলাম, তখন স্পেসএক্স আমাদের সামনে ফ্যালকন-৯ ব্লক-৫ রকেটের প্রস্তাব দেয়। আমরা তাতে রাজি হয়ে যাই।’ সূত্র : স্পেস নিউজ।