কাঠখোট্টা আর স্পষ্টভাষী হিসেবে সুনাম আর দুর্নাম দুটোই আছে ভারতের সাবেক বিধ্বংসী ওপেনার বীরেন্দ্র শেবাগের। তার ব্যাটিংয়ের মতোই যেন বিধ্বংসী তার কথা বলা। সেই কথাতেই কি এবার লেগে গেল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাম মালিক বলিউড তারকা প্রীতি জিনতার সঙ্গে? পাঞ্জাব ফ্রাঞ্চাইজির সূত্রের দাবি, দলের হার একদম হজম করতে পারেন না। দল হারলে তার হতাশা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসে পড়ে টিমের কারও উপর।
প্রীতি জিনতার এই রাগ নতুন কিছু নয়। ২০১৬ সালে সঞ্জয় বাঙ্গারের সঙ্গে প্রকাশ্যে কথা কাটাকাটিতেও জড়িয়েছিলেন বলিউড নায়িকা। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়। অভিযোগ ওঠে, বাঙ্গারকে নাকি প্রকাশ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকিও দিয়েছিলেন দলের মালিক। বাঙ্গারের পর এবার বীরেন্দ্র শেবাগ। জানা গেছে, রাজস্থানের বিপক্ষে হারের পর শেবাগের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রীতি। দলে করুণ নায়ার, মনোজ তিওয়ারির মতো স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান থাকা সত্ত্বেও তিন নম্বরে অশ্বিনকে নামানোর সিদ্ধান্ত কেন নিলেন শেবাগ?
তবে পাঞ্জাবের অনেকেই বলছেন, এর আগেও অনেকবার শেবাগের কাজে হস্তক্ষেপ করেছেন প্রীতি। শেবাগ নাকি সেটা ভালোভাবে নেননি। পাঞ্জাবের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অশ্বিন ০ রানে ফিরে আসার পরই প্রীতি রাগে গজগজ করতে থাকেন। তার পর শেবাগের দিকে তেড়ে গিয়ে বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী তখন অশ্বিনকে নামানোর সিদ্ধান্ত অপ্রয়োজনীয় ছিল। রাজস্থানের বিপক্ষে মাত্র ১৫৮ রান তুলতে পারেনি পাঞ্জাব। তার জন্য প্রীতি বারবার শেবাগকেই দায়ী করতে থাকেন। শেবাগ প্রথমে তাকে নিজের স্ট্রাটেজি বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু প্রীতি ক্রমশ উত্তেজিত হয়ে পড়লে শেবাগ নিজেকে সরিয়ে নেন।’
পাঞ্জাবের কেউ কেউ বলছেন, শেবাগের সঙ্গে প্রীতির কথা কাটাকাটি এই প্রথম নয়। এর আগেও এমন ব্যাপার বহুবার হয়েছে। তাদের আরও দাবি, শেবাগ ঘনিষ্ঠমহলে এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, ক্রিকেটীয় মস্তষ্কের প্রসঙ্গ উঠলে তিনি অনেকের থেকে অনেকটা এগিয়ে। তাই মাঠের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তিনি কারও পরামর্শ গ্রহণ করবেন না। এদিকে, প্রীতির সমর্থনে দলের অন্য মালিকদের বক্তব্য, বলিউড নায়িকা শেবাগের সঙ্গে স্রেফ হারের কারণ নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এসময় উত্তেজনাকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।