ডেইলি সাতক্ষীরা রসুইঘর: রঙ, রূপ, পুষ্টিগুণে ভরপুর এক সবজি গাজর। তরকারি, কেক, মাফিন, পাই, হালুয়াতে যখনই গাজরের রসালো, মিষ্টি উপস্থিতি, তখনই আপনার হেঁশেল, ডাইনিং টেবিল এমনকি সারা বাড়ি ছাপিয়ে মৌ মৌ সুবাস দাপিয়ে বেড়ায়। আসুন, আদি-অকৃত্রিম গাজরের হালুয়ার রেসিপিটি আরেকবার ঝালিয়ে নেই। স্বাদ সেই আগের মতোই থাক, তবে হালুয়ার চেহারাটি আজ একটু পালটে দিন।
উপকরণ- গাজর ৬-৭টি মাঝারি সাইজ দুধ-২ কাপ চিনি-৬ টেবিল চামচ ঘি-৫ টেবিল চামচ এলাচ গুঁড়ো- অর্ধেক চা চামচ কিসমিস- এক মুঠো বাদাম এক মুঠো (পছন্দ মাফিক: চীনা বাদাম, আখরোট, পেস্তা বাদাম ইত্যাদি)
প্রণালী- ছিলে, ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কাটা গাজর দুধে সেদ্ধ করুন মাঝারী আঁচে। মাঝে মাঝে নাড়ুন যাতে পোড়া না লাগে। দুধ আস্তে আস্তে ঘন হয়ে কমতে শুরু করবে এবং গাজর সেদ্ধ হতে থাকবে।এ পর্যায়ে কাঠের চামচ দিয়ে ভাল করে গাজর ভেঙ্গে ভেঙ্গে দুধের সঙ্গে মেশাতে থাকুন।এবার এতে ঘি, এলাচ গুঁড়ো, চিনি দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন ঢিমে তাপে। এক পর্যায়ে হালুয়া আঠালো, মাখা মাখা, তেলতেলে, নরম, মখমলি রূপ নেবে যা তখন আর হাড়ির তলানীতে মোটেই লেগে ধরবে না। কিশমিশ, বাদাম ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন চায়ের সঙ্গে বা রুটি দিয়ে। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেতেও এ হালুয়া অনবদ্য।
হালুয়ায় যেভাবে নতুন রূপ দেবেন- (১) রান্না হয়ে যাবার পর হালুয়া সামান্য গরম (সহনীয় গরম) থাকতে থাকতেই হাতের তালুতে লাড্ডুর মত বল বানিয়ে নিন। পরিবেশনের আগে এতে পাউডার সুগার ছিটিয়ে দিন বা তিলের দানায় লাড্ডু গড়িয়ে নিন। (২) অথবা, পিঠা/সন্দেশের ছাঁচে সামান্য ঘি মাখিয়ে নিয়ে হালুয়া দিয়ে পছন্দ মত ফুল-পাতার রূপ দিন। পরিবেশনের সময় চাইলে বাদাম বা পাউডার সুগার ছিটিয়ে দিতে পারেন।